সংবাদদাতা, বনগাঁ : বিজেপির নির্দেশে ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের প্ররোচনায় হাসপাতালেও হামলা চালানো হয় তৃণমূল কর্মীদের উপর। আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে যাওয়াদের শুধু নয় আহত তৃণমূল কর্মীদের উপরও চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে শান্তনু ঘনিষ্ঠ বিজেপি হার্মাদদের উপরে। আরও অভিযোগ শান্তনুর দেহরক্ষী কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামলাতে আসা রাজ্য পুলিশের উপরেও চড়াও হয়েছে। এই নিয়ে তুলকালাম ঠাকুরনগর। পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে শান্তনু-ঘনিষ্ঠ বিজেপি।
আরও পড়ুন-কো-উইন অ্যাপ থেকে গ্রাহকদের আধার-প্যান তথ্যফাঁস ঘিরে শোরগোল
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো বিজেপির এই তান্ডবের পরেও নিজেদের সংযত রেখেছে তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জানা গেছে রবিবার দুপুরে ঠাকুর বাড়ির ঘটনায় বেশ কয়েকজন মতুয়া ও তৃণমূল কর্মী আহত হয়। তাঁদের নিয়ে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে যান মতুয়া সংঘাধিপতি মমতা ঠাকুর। খবর পেয়ে বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়াও কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আহত বলে প্রচুর লোকজন নিয়ে হাসপাতালে যায়। সেখানে পৌঁছেই তৃণমূলিদের উপর চড়াও হয় বিজেপি। শুরু হয় হাতাহাতি।
আরও পড়ুন-ইস্টবেঙ্গলে সই বোরহার
এরপর শান্তনু ঠাকুর ও তার দাদা গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বিজেপি হার্মাদদের নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে তৃণমূল কর্মীদের উপর চড়াও হয়। পুলিশ ঠেকাতে গেলে তাদের উপরও চড়াও হয় শান্তনু ও সুব্রত ঘনিষ্ঠরা। বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জানান, হাসপাতাল ভাঙচুর, মারধরের ঘটনায় পুলিশ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়ার শান্তনু ঠাকুরের দেহরক্ষী কেন্দ্রীয় বাহিনী পুলিশের কাজে বাধা দেয়। এমনকী পুলিশের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনী চড়াও হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের কাজে বাধা ও অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-সাহারায় ম্যারাথন জয় বাঙালি মেয়ের
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানান, শান্তনু ঠাকুর, বিজেপির ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যেভাবে মতুয়া ও তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংযত থাকতে বলেছেন। কোনও প্ররোচনায় পা দিতে বারণ করেছেন বলে আমরা চুপচাপ আছি।