প্রতিবেদন : কৃষিবিল, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন প্রতিবাদীদের কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। ট্যুইটারের (Twitter- India) প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসি মঙ্গলবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন। ডরসির বক্তব্যের বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের কাছে জবাব তলব করা হয়েছে। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেল জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব আইন ও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময়ে ভারত সরকার ট্যুইটারের থেকে সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে। ২০১৯ সালে মোট ১০৫৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে মোদি সরকার। ২০২০ সালে চাওয়া হয়েছে ৫৮৩০টি অ্যাকাউন্টের তথ্য। অর্থাৎ এক বছরে অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া বেড়েছে ৪৫২ শতাংশ। সাকেত জানিয়েছেন, ২০২১ সালে সারা বিশ্ব থেকে এ ধরনের যত অনুরোধ এসেছে তার ১৯ শতাংশই এসেছে ভারত (Twitter- India) সরকারের কাছ থেকে। সাকেতের দাবি, ২০২০ সালে অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ রাখা এবং পোস্ট মুছে ফেলার জন্য ৯৭২৪টি নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। তারমধ্যে মাত্র ১৯টি আদালতের নির্দেশে। বিজেপির আইটি সেল সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, মহিলাদের সম্পর্কে কটূক্তি, ভুয়ো খবর ছড়ালেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- আবার রক্তাক্ত মণিপুর, জঙ্গিহানায় প্রাণ গেল ১১ গ্রামবাসীর