প্রতিবেদন : ১৯৯৮ সালের কর্মী বাঁকুড়ার সুভাষ মণ্ডল সিপিএমের হার্মাদদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর স্ত্রী মঞ্জু মণ্ডলকে এবার প্রার্থী করেছে দল। বীরভূমের নানুরের ১৯৯৮ সাল থেকে দল করা শহিদ পরিবারের ছেলে দাপুটে নেতা বীরভূম কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখকে জেলা পরিষদে প্রার্থী (Panchayat Election Candidate) করল দল। এছাড়া হাওড়ার বাগনানে জেলার সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী (২৩) হিসেবে মনেনয়ন জমা দিয়েছেন ঝিন্দন প্রধান। এগুলি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হল। রাজ্যের ৭৩ হাজার বুথে এই ধরনের অজস্র ছবি ধরা পড়েছে প্রার্থী তালিকায়। প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন প্রচুর ঝকঝকে, স্মার্ট, টেকস্যাভি রাজনীতি সচেতন তরুণ তুর্কিরাও। আর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো রীতি মেনে চোখে পড়ার মতো সংখ্যায় প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে মহিলাদের। এর সঙ্গে রয়েছে নবজোয়ার কর্মসূচিতে মানুষের ভোটে উঠে আসা প্রার্থীরাও। সব মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব ২০২৩-এর পঞ্চায়েতের প্রার্থী (Panchayat Election Candidate) তালিকায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। যারা ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের জন্য কাজ করবেন। তাদের পাশে থাকবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে যখন বাঁকুড়ায় যান তখন মঞ্জু মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। সেই সময়ই তিনি তাঁকে জানিয়েছিলেন, দল সবরকমভাবে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছে। যে কথা সেইকাজ। প্রার্থী হলেন মঞ্জু মণ্ডল। দল যে কোনও অবস্থাতেই র্কত ঝড়ানো পুরনো কর্মীদের ভোলেনি ২০২৩-এর পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকা দিয়ে তা আরও একবার প্রমাণিত হল। জেলায় জেলায় রীতিমতো উৎসবের মেজাজেই মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।