নয়াদিল্লি : রাষ্ট্রবিজ্ঞানী যোগেন্দ্র যাদব এবং সুহাস পালশিকরের পর আরও ৩৩ জন শিক্ষাবিদ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটিকে পাঠানো চিঠিতে পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন কমিটি থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার অনুরোধ করলেন। রসায়ন থেকে জীববিদ্যা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে ইতিহাস বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্কুল পাঠক্রম থেকে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বাদ পড়েছে। পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন কমিটিতে থাকা শিক্ষাবিদদের কোনওরকম মতামত না নিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই প্রথমে যোগেন্দ্র এবং সুহাস পরে আরও ৩৩ জন শিক্ষাবিদ এনসিইআরটির পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানালেন।
আরও পড়ুন-মোদিরাজ্যে ভাঙল সেতু জলে গেল ২০০০ কোটি, ভগবানের মার না প্রতারণা? ট্যুইটে খোঁচা অভিষেকের
যোগেন্দ্র যাদব, সুহাস পালশিকর এবং আরও ৩৩ জন শিক্ষাবিদ এনসিইআরটির ডিরেক্টর ডি পি সাকলানিকে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, তাঁরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন যে, শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই এনসিইআরটি একতরফাভাবে পাঠ্যপুস্তকগুলির পাঠ্যক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এর ফলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যসূচি তৈরির ক্ষেত্রে সকলের সৃজনশীল সম্মিলিত প্রচেষ্টা কার্যত ধাক্কা খেয়েছে। যা ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গঠনের পক্ষেও ঠিক নয়। তাছাড়াও এটা মনে হতে পারে যে, তাঁদের সম্মতি নিয়েই পাঠ্যক্রমে এই পরিবর্তন করা হয়েছে কিন্তু সেটা একেবারেই ঠিক নয়।
আরও পড়ুন-চোপড়ার ঘটনা নিয়ে তদন্ত উচ্চপর্যায়ের
উল্লেখ্য, এনসিইআরটির নির্দেশিকা মেনে গত কয়েক মাসে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ সব শ্রেণির পাঠ্যক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। কোথাও বাদ দেওয়া হয়েছে ডারউইনের বিবর্তনবাদ। কোথাও বা মুঘল যুগ। এমনকী, গান্ধী হত্যার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বাদ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে গোটা দেশজুড়েই নিন্দার ঝড় উঠেছে। সকলেই বলেছেন, বিজেপি তাদের সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থেই এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ছেঁটে ফেলছে।