প্রতিবেদন : বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে আরও ১৬ দিন। কিন্তু সেদিনের পর এখনও বাড়ি ফেরেননি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express- Loco Pilot) চালক গুণনিধি মোহান্তি। তিনি কোথায় সেটাও কেউ বলতে পারছে না। গুণনিধির ফেরার আশায় দিন গুনছেন পরিবারের সদস্যরা। গুণনিধির অশীতিপর বাবা বিষ্ণুচরণ মোহান্তি বলছেন, সবাই ভাবছে, দুর্ঘটনার জন্য আমার ছেলেই দায়ী। কিন্তু ও ২৭ বছর ধরে ট্রেন চালাচ্ছে। কখনও কোনও ভুল করেনি। দুর্ঘটনার পর ছেলের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কথা না হলেও, গুণনিধির ফেরার আশায় বসে রয়েছেন তিনি। কটক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নাহারপদ গ্রামে গুণনিধিদের বাড়ি।
আরও পড়ুন- নেহরুর নাম মুছে পার্ক মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের নামে
দুর্ঘটনার পর অভিশপ্ত করমণ্ডলের চালক (Coromandel Express- Loco Pilot) কেমন আছেন, কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। দুর্ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর রেলের তরফে জানানো হয়, আহত গুণনিধিকে ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁর পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙে গিয়েছে এবং মাথাতেও চোট রয়েছে। দুর্ঘটনার দু’দিন পর গুণনিধিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন গুণনিধির ভাই রঞ্জিত মোহান্তি। কিন্তু তাঁকে ফোন নিয়ে আইসিইউ-এ ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যদিও চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁর দাদার বুকে রক্ত জমে গিয়েছে। অসহ্য যন্ত্রণা হওয়ার কারণে তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। গুণনিধির স্ত্রীকেও ভিতরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন রঞ্জিত। গুণনিধির আইনজীবী দাদা সঞ্জয় মোহান্তিও জানিয়েছেন, হাসপাতালে গিয়েও তিনি আহত ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। এরই মধ্যে ওই বেসরকারি হাসপাতালটি জানিয়েছে, গুণনিধিকে চার-পাঁচ দিন আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসক এবং পদাধিকারী জানিয়েছেন, করমণ্ডলের আহত চালক এবং সহকারী চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হল করমণ্ডলের চালক বা সহকারী গেলেন কোথায়?