প্রতিবেদন : গত সপ্তাহে গ্রিসের উপকূলে এক ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয় ৮৫ জনের। এখনও অনেকেই নিখোঁজ। মৃতদের মধ্যে ছিল বহু পাকিস্তানি নাগরিক। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করে এক বড়সড় পাচারচক্রের সন্ধান পায় পাকিস্তান সরকার। এরপরই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে রবিবার ১০ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জানা গিয়েছে, পাক যুবকদের ভাল চাকরির টোপ দিয়ে বেআইনিভাবে ইউরোপে পাচারের চেষ্টা চলছিল।
আরও পড়ুন-লাল-হলুদে সই তিন ভারতীয়ের
ধৃতদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩০০ জন যুবককে পাকিস্তান থেকে ইউরোপে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোমবার জাতীয় শোক দিবস পালন করে পাকিস্তান। দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মানুষ চোরাচালানে জড়িত এজেন্টদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শরিফ সরকার।
আরও পড়ুন-ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ভারতীয় দল, সাফে চোখ সুনীলদের
গ্রিসের উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় ৮৫ জন অভিবাসী মারা যান। শতাধিক নিখোঁজ হয়। ওই নৌকার অধিকাংশ যাত্রীই পাকিস্তানি শরণার্থী বলে মনে করা হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ওই নৌকাডুবির ঘটনায় মাত্র ১২ জন পাকিস্তানিকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। অধিকাংশ পাক নাগরিকই ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে প্রায় ৪০০ থেকে ৭৫০ জন লোক ছিলেন। গ্রিস সরকার জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১০৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-স্পেনের দখলে নেশনস লিগ, টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়ার
গ্রিস সরকারের আশঙ্কা, বুধবার পেলোপনিস উপদ্বীপের কাছে ট্রলার ডুবে অন্তত ১৫০ জন পাকিস্তানি মারা গিয়েছেন। তবে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই ঘটনায় প্রায় ৩০০ পাক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। পাক প্রশাসনের দাবি, মৃতদের অধিকাংশই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা। অভাবের তাড়নায় দেশ ছেড়ে রোজগারের উদ্দেশ্য বেরিয়েছিলেন তাঁরা।