প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদৌ চিন্তিত নই৷ মিলিটারি নামালেও চিন্তা নেই৷ রাষ্ট্রসংঘ থেকে বাহিনী এলেও চিন্তা নেই৷ বিপুল ভোটে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশের পর এটাই দলের বক্তব্য। এর আগে একাধিক নির্বাচন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। কিন্তু সবক’টি নির্বাচনেই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাই হবে। বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশেই আছে।
আরও পড়ুন-সোমবার রাতে কিয়েভে ড্রোন হামলা রাশিয়ার, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
কিন্তু দলের কয়েকটি প্রশ্ন : ১. গোটা দেশে পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোট স্থানীয় পুলিশ দিয়েই হয়। পড়শি বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরাতেও পুরভোট হয়েছে রাজ্য পুলিশ দিয়েই। লাগামহীন সন্ত্রাস করেছে বিজেপি সেখানে। কই তখন তো কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা বিজেপির মুখে শোনা যায়নি। বঙ্গ বিজেপির নেতারাও বলেনি! ২. অন্যান্য সব রাজ্যেই স্থানীয় পুলিশ এই ধরনের লোকাল বডি নির্বাচন করায়। তবে বাংলার জন্য আলাদা নিয়ম কেন হবে? বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির জবাব কী? ৩. রাজনৈতিক সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের সিদ্ধান্ত, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসেরও ৩ জন মারা গিয়েছে। রাজ্যের ৭৩ হাজার বুথের মধ্যে দু-তিনটি বুথের আশপাশে বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সার্বিক বিচারে যা শতাংশের হিসেবেই আসে না। ৪. বিরোধীদের প্ররোচনা ও একশ্রেণির মিডিয়ার বিকৃত তথ্য পরিবেশন আগুনে ঘি ঢালছে। সর্বোপরি রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতে তাদের বক্তব্য জানিয়েছে পরিস্থিতি বিচার করে। দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের বাহিনী নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই। পঞ্চায়েতে বিপুল ভোটে জয় আসবে, আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-একই সঙ্গে চালু হল রিউম্যাটোলজির ডে-কেয়ার পরিষেবা, এসএসকেএম-এ স্ট্রোকের বহির্বিভাগ চালু
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা হাসতে হাসতে দেখছি, কী হতে চলেছে। ওরা কেন্দ্রীয় বাহিনী বুকে নিয়ে ঘুরুক। আমরা মানুষকে বুকে নিয়ে ঘুরি। হাসতে হাসতে হারাব। এমন ভাবে হারাব যাতে ওরা ভোটের ফল বেরনোর পরে মনে রাখে। তাঁর সংযোজন, এই সব দৃশ্য বিজেপি-আইএসএফ ও অন্যান্যরা করেছে। ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলেও ওরা ছিল শূন্য। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তোয়াক্কা করি না৷ মানুষের ভোটে জিতব৷ তবে ত্রিপুরায় এক রায় হবে আর এখানে এক রায় হবে সেটা হতে পারে না। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফ-হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট দেখবে কীভাবে ওরা হারে। সম্প্রতি নামখানার জনসভা থেকেও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার বিরোধী দলের জামানত জব্দ করার ডাক দিয়েছেন। আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। বেশিরভাগ অঞ্চলেই যাঁরা টিকিট না পেয়ে নির্দল দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দু’একদিনের মধ্যে জেলায় প্রচারে বেরিয়ে পড়বেন রাজ্যস্তরের নেতা-নেত্রীরা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রচার করবেন। ফলে গ্রামবাংলা আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের হতে চলেছে। ফল বেরনোর পর বাংলার আকাশে সবুজ আবির ওড়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।