রক্তস্নাত অধ্যায়কে ব্যবহার রাজনৈতিক স্বার্থে, তাহলে পাঞ্জাব দিবস নয় কেন? ব্রাত্য বসু

১৯৪৭ সালের ২২ মার্চ অবিভক্ত ভারতের বড়লাটের (ভাইসরয়) দায়িত্ব নিয়ে লর্ড মাউন্টব্যাটেন সপরিবারে এদেশের মাটিতে পা রাখেন।

Must read

১. ১৯৪৭ সালের ২২ মার্চ অবিভক্ত ভারতের বড়লাটের (ভাইসরয়) দায়িত্ব নিয়ে লর্ড মাউন্টব্যাটেন সপরিবারে এদেশের মাটিতে পা রাখেন।
২. পরদিন ২৩ মার্চ দিল্লিতে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে তিনি বড়লাট হিসেবে শপথগ্রহণ করেন।
৩. সেদিনই তিনি ঘোষণা করেন, ১৯৪৭ সালের জুন মাসের মধ্যে তিনি ভারতের স্বাধীনতা দেবেন।
৪. ভারত ভাগের পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় জুন মাসের ৩ তারিখে ১৯৪৭। এটি ইতিহাসে ‘June 3rd Plan এবং Mountbatten Plan name’ পরিচিত। এই ঘোষণাতেই বাংলা এবং পাঞ্জাব ভাগের কথা নির্দিষ্টভাবে ঘোষিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন-সোমবার রাতে কিয়েভে ড্রোন হামলা রাশিয়ার, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

৫. ওই ৩ জুন তারিখেই পাঞ্জাব আইনসভায় আনুষ্ঠানিক ভোটাভুটি করে পাঞ্জাবের বিভাজনে সিলমোহর দেয়।
৬. ওই জুন মাসের ২০ তারিখ (১৯৪৭) অখণ্ড বাংলারও প্রাদেশিক আইনসভায় বাংলা ভাগের ব্যাপারটা ভোটাভুটি করে পাশ হয়।
৭. ২০ জুনের আইনসভার এই বৈঠকের কোনও ঐতিহাসিক তাৎপর্য নেই, কারণ এর ১৭ দিন আগেই ‘June 3rd Plan’ ঘোষিত হয়ে গিয়েছে। পাঞ্জাব ভাগের সিদ্ধান্তেও সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। Legislative Assembly-র এই নাম কাওয়াস্তে বৈঠককে গুরুত্ব দেওয়ার অর্থ ইতিহাসকে বিকৃত করা।

আরও পড়ুন-একই সঙ্গে চালু হল রিউম্যাটোলজির ডে-কেয়ার পরিষেবা, এসএসকেএম-এ স্ট্রোকের বহির্বিভাগ চালু

৮. তাছাড়া গত ৩ জুন, ২০২৩ আপ সরকারের পাঞ্জাব রাজ্যে, পাঞ্জাবের বিজেপি শাখা বা পাঞ্জাবের রাজ্যপাল রাজভবনে কোনও ‘পাঞ্জাব দিবস’ পালন করেননি। অথচ পাঞ্জাবে বিজেপি অন্যতম প্রধান বিরোধী দল। তাহলে বাংলায় হঠাৎ এই দ্বিচারিতার মানে কি?
৯. যেকোনও তিক্ত অভিজ্ঞতাকে এবং রক্তস্নাত অধ্যায়কে অতিরঞ্জিত করা ইতিহাসের দৃষ্টিকোণ থেকে বাঞ্ছনীয় নয়। ক্ষুদ্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করাও অসমীচীন।

Latest article