প্রতিবেদন : গত কয়েক বছরে আয় বেড়েছে ভারতীয় রেলের। লাভ হলেও কর্মী নিয়োগ বন্ধ। বরং রেল পরিষেবা ধাপে ধাপে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। টিকিট চেকারদের (Ticket Checker- Railway Announcer) দিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনের ঘোষণা করা হচ্ছে। আবার কোথাও গােটা স্টেশনই তুলে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাতে। বন্দে ভারত চালু হলেও বসানো যায়নি আধুনিক রেল ট্র্যাক। ওড়িশার বাহানাগা বাজারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর আরও কয়েকটি ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে গোটা দেশে। বাহানাগা বাজারে শয়ে শয়ে লাশ দেখে প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করলেও রেলের নিয়োগ নিয়ে আজও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থাই নেননি। দেশে ১৮ লক্ষ রেল কর্মী ছিল। এখন নেমে এসে ১০ লাখেরও নিচে। আর মোদি সরকার বলছে রেলের আধুনিকীকরণ। লোকাল বা দূরপাল্লার ট্রেনের গার্ড ও চালকের সংখ্যা কমে গিয়েছে। ঘোষণার (Ticket Checker- Railway Announcer) কাজে নিয়োগ করা হয়েছে ঠিকাদার। যারা পাঁচ-ছ’হাজার টাকার বেতনে কাজ করাচ্ছে। এছাড়া হল্ট ও ফ্ল্যাট স্টেশনগুলি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা টিকিট বিক্রিও করছেন। রেল থেকে মুনাফা নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এজন্যই একাধিক রেল দুর্ঘটনা বাড়ছে। পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন, ছোট ছোট স্টেশনগুলি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রেল মন্ত্রকের নেওয়া এই নীতি আমরা কার্যকর করছি মাত্র। সার্বিকভাবে বলা চলে, কর্মীর অভাবে রেল পরিষেবা তলানিতে। আর আধুনিকীকরণের নামে মাসের পর মাস ট্রেন বাতিল থাকছে।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় বাহিনী তবু বিরোধী চক্রান্তে খুন তৃণমূল নেতা