সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : কথায় বলে ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও নাকি ধান ভানে। ঢেঁকির প্রবাদের সত্যতা কতখানি আছে জানা নেই, তবে নির্বাচনী প্রচারে এসেও যে চিকিৎসকদের রোগী দেখতেই হয়, তার বাস্তব ছবি আবারও দেখা গেল সোমবারের মেঘলা বিকেলে। অতীতে আমরা বহুবার তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক কাকলি ঘোষদস্তিদার, মানস ভুঁইয়া, সুদর্শন ঘোষদস্তিদারদের এমত দ্বৈতভূমিকায় দেখেছি। সোমবার হাওড়ার বালির তৃণমূল বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়কেও আমরা সেই একই ভূমিকায় দেখলাম।
আরও পড়ুন-বিজেপির অসমে সাংবাদিক খুন
পশ্চিম বর্ধমানের লাউদোহা এলাকার কুলবনি গ্রামে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন চিকিৎসক-বিধায়ক। তাঁকে দেখেই চারিদিক থেকে ছেঁকে ধরেন কয়েকশো গ্রামবাসী। সবার আবদার, তাঁদের একবার দেখে দিতে হবে। এলাকার অনেক মা বাচ্চা কোলে নিয়ে হাজির। অনেক বয়স্ক মানুষও তৃণমূলের এই ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচিতে শারীরিক সমস্যার কথা জানান ডাঃ বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন-মোদি জমানায় দলে দলে পাসপোর্ট ত্যাগ
হাসি মুখে অনেক রাত অবধি তিনি সবার সমস্যা শুনে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দেন। পাশে ছিলেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। রানাবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যের মানবদরদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো মানুষের সেবা করার জন্যই এত বড় গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। তিনিই প্রেরণা। তাই নির্বাচনী প্রচারে এসেও রোগী দেখতে কোনওরকম ক্লান্তি বোধ করি না।’’