প্রতিবেদন : পরিবেশের উপর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এল নিনো। যার প্রভাবে কোথাও অতিবৃষ্টি, কোথাও-বা খরা দেখা দিচ্ছে। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাল, ২০২৩ ও ২০২৪ সাল জুড়ে গোটা বিশ্বকেই নাকানিচোবানি খাওয়াবে এল নিনো। এর ফলে ভাইরাস ঘটিত বেশকিছু অসুখ বাড়বে।
আরও পড়ুন-চিকিৎসক বিধানচন্দ্র
এল নিনো হল সমুদ্রের জলের উষ্ণ স্রোত। প্রশান্ত মহাসাগরে দু’রকমের আবহাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার একটি হল লা নিনা। যার জেরে তাপমাত্রা কমে। অপরটি হল এল নিনো। এল নিনো হল এক উষ্ণতম সামুদ্রিক জলস্রোত যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয়।
হু জানিয়েছে, এল নিনোর প্রভাবে জলবায়ুর বড় ধরনের বদল হচ্ছে। এই বদলের কারণেই বিভিন্ন ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। হু-র প্রধান টেড্রাস অ্যাডাহোম জানিয়েছেন, এল নিনোর কারণে এশিয়া-সহ অন্য মহাদেশগুলিতে মশাবাহিত রোগ অনেক বাড়বে। বৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়বে। পেরুতে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির প্রভাব মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ডেঙ্গির ডেনভি ভাইরাসও চরিত্র বদল করছে। স্ত্রী এডিস ইজিপ্টাই মশা এই ভাইরাসদের বাহক। স্ত্রী এডিস আবার ইয়েলো ফিভার, জিকা ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও বাহক। চিকুনগুনিয়া ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন ফ্রান্সের বিজ্ঞানী।
আরও পড়ুন-গুরুপূর্ণিমায় গুরুতত্ত্ব
জিকাও মশাবাহিত সংক্রামক রোগ। এই ভাইরাস মশার মাধ্যমে শরীরে ঢুকে রোগ ছড়ায়। জিকার ভাইরাস শরীরের স্নায়ুতন্ত্র বা নার্ভাস সিস্টেমকে বড়সড় আঘাত করে। অন্তঃসত্ত্বা ও বাচ্চাদের এই ভাইরাসের সংক্রমণে জটিল অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই জিকা থেকেও সতর্ক করছে হু।