সংবাদদাতা, গাইঘাটা : কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী। মতুয়া সমাজের নেতা। কিন্তু তাঁর কেন্দ্রেই পরাজিত বিজেপি। আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমানের জবাব দিল ওখানকার মানুষ। সেইসঙ্গে বুঝিয়ে দিল আগামীতে নো ভোট টু বিজেপি। নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে ঠাকুরনগরের মন্দিরে যেতে পারেননি অভিষেক।
আরও পড়ুন-দেউচা পাঁচামি এলাকার মানুষের রায় তৃণমূলের দিকেই, তিন পঞ্চায়েতে জয় মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের
শান্তনু পরিকল্পিত চক্রান্ত করে তাঁকে আটকেছিলেন। কিন্তু মানুষ তা মেনে নেয়নি। তাই যোগ্য জবাব দিল এখানকার মানুষ। ২৬৫ ভোটের ব্যবধানে জয় তৃণমূল প্রার্থীর। নিজের বুথেই বিজেপির সাংসদ-বিধায়কেরা বিজেপি প্রার্থী শ্রেষ্ঠা মৃধাকে জেতাতে না পারায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিজেপির অন্দরেই। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ইছাপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪২ নম্বর বুথে বাড়ি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের। এই বুথেই হার হল বিজেপির।
আরও পড়ুন-খনি অঞ্চলে সবুজঝড়ে উড়ে গেল বিরোধীরা
তৃণমূল প্রার্থী রিতা মণ্ডলের কাছে হারলেন বিজেপি প্রার্থী শ্রেষ্ঠা মৃধা। এই জয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। ঠাকুরবাড়িতে নবজোয়ার যাত্রায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল শান্তনু ঠাকুর ও তার দাদা সুব্রত ঠাকুর। ন্যক্কারজনক এই ঘটনার পর মতুয়া থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষেরা ধিক্কার জানিয়েছিল ঠাকুর পরিবারের ওই দুই সদস্যকে। তারপরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ফল মানুষ ও মতুয়া সম্প্রদারের মানুষেরা বুঝিয়ে দিল শান্তনু ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকুরের রাজনৈতিক অবস্থান। এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের।