২০২৩ সালের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন আগামী দিনে বাংলা তথা ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লিখিত হবে। মানুষের মতামত নিয়ে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন এর আগে কোনও রাজনৈতিক দল করতে পারেনি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় দু’মাস ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষের মতামত নিয়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার জন্য কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ রাস্তায় থেকেছেন।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্য সভাপতির দত্তকগ্রাম হাতছাড়া
তার আগে দিদির দূত কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনে সমাধানের চেষ্টা করেছেন। এছাড়া সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী, দিদিকে বলো, দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধান— সবকিছুর মধ্যে মানুষ খুঁজে পেয়েছে তার দৈনন্দিন অসুবিধার সমাধানসূত্র। তাই এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাহাড় থেকে সাগর উজাড় করে সমর্থন দিয়েছে তৃণমূলকে। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনে যে যে অঞ্চলে মানুষ সাময়িকভাবে তৃণমূলকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন, তাঁরাও আবার তৃণমূলকে আপন করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন-ইসলামপুরে দাঁত ফোটাতে পারল না বিজেপি
সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস, আইএসএফ ও মিডিয়ার একাংশ একসঙ্গে হয়েও মানুষের মনে তৃণমূলের আসন টলাতে পারেনি। তাদের কুৎসা, অপপ্রচার ও সন্ত্রাসকে পদদলিত করে ভালবাসায় সিক্ত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক ও তৃণমূলকে। এই ফলাফল শুধু একটি পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নয়, এটি আগামী দিনের পথনির্দেশক। মানুষ ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বাংলার ৪২ আসনেই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারতের কান্ডারি হিসেবে দিল্লিতে পাঠাবেন।