বিজেপি রাজ্য সভাপতির দত্তকগ্রাম হাতছাড়া

যার জেরে গ্রামে ফুটল ঘাসফুল। দত্তক নেওয়া গ্রাম হাতছাড়া হওয়ায় সুকান্তকে কু-পিতা বলে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ

Must read

সংবাদদাতা, বালুরঘাট : বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঢাকঢোল পিটিয়ে দত্তক নিয়েছিলেন বালুরঘাটের চকরাম গ্রাম। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুরের সেই গ্রামে খোদ পালকপিতার বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ হল। যার জেরে গ্রামে ফুটল ঘাসফুল। দত্তক নেওয়া গ্রাম হাতছাড়া হওয়ায় সুকান্তকে কু-পিতা বলে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ।

আরও পড়ুন-ইসলামপুরে দাঁত ফোটাতে পারল না বিজেপি

বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ হওয়ার পর সুকান্ত বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম গ্রামটিকে দত্তক নেন। যদিও দত্তক নেওয়ার পরেও ওই গ্রামের উন্নয়ন না হওয়ায় সম্প্রতি গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে সুকান্তকে কড়া জবাব দিলেন গ্রামের মানুষ। চকরাম গ্রামের ৮১ নং বুথের তৃণমূল প্রার্থী সুধা দেবনাথ ১৪৪ ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হলেন। বিজেপির হাতছাড়া হতেই সুকান্ত মজুমদারকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। রাজ্য তৃণমূল সাধারণ সম্পাদিকা অর্পিতা ঘোষ বলেন, দত্তক নেওয়া গ্রাম পিতার হাতছাড়া। কু-পিতা হলে এরকমই হয়।

আরও পড়ুন-বাইশ বছর পর পাহাড়ে গণতন্ত্রের আর এক পথ চলা শুরু হল. পাহাড়ে তৃণমূল জোটের কাছে পরাস্ত বিজেপি

সুকান্তর লজ্জা হওয়া উচিত, ওঁর লোকসভা কেন্দ্রে ডাহা ফেল করেছেন। মানুষ যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ওঁকে বাতিল করেছে, সেটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। সুকান্তকে কটাক্ষ করতে পিছপা হয়নি তৃণমূল ছাত্র পরিষদও। জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অমরনাথ ঘোষ বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে সুকান্ত নিজের ওয়ার্ডে হেরে গিয়েছিলেন, তারপরে ২০২২-এ পুরসভা নির্বাচনেও তিনি নিজের ওয়ার্ডে, নিজের বুথে হেরেছেন, এবার যে গ্রাম তিনি দত্তক নিয়েছিলেন সেই গ্রামেও বিজেপিকে জেতাতে পারলেন না|

Latest article