প্রতিবেদন : রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন কি আদৌ বেঁচে আছেন? যদি বেঁচে থাকেন তাহলে সশস্ত্র বিদ্রোহের পর তিনি কোথায় গেলেন? বিদ্রোহের পর থেকে প্রিগোজিন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্যপ্রমাণ এখনও মেলেনি। এরই মধ্যে মার্কিন সেনার এক প্রাক্তন শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, প্রিগোজিন সম্ভবত মারা গিয়েছেন। যদিওবা তিনি বেঁচে থাকেন তবে তাঁকে জেলে পুরে রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
আরও পড়ুন-মেসির মুখে ফের অবসরের ইঙ্গিত
অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন জেনারেল রবার্ট আব্রামস আরও বলেছেন, সম্প্রতি প্রিগোজিন পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে ক্রেমলিন যে দাবি করেছে সেটাও সম্পূর্ণ ভুয়ো। আসলে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই ক্রেমলিন এই বক্তব্য সামনে এনেছে। আব্রাহামস মার্কিন সেনার কোরিয়ার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, সম্প্রতি পুতিনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিলেন প্রিগোজিন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মনে করেন প্রিগোজিন হয়তো বেঁচে নেই। যদি বেঁচে থাকেন তবে তাঁকে কোনও জেলে পুরে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি প্রিগোজিন ও পুতিনের বৈঠক নিয়ে ক্রেমলিনের দাবিকে তিনি নাটক বলে উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে সুনিপুণ চিত্রনাট্য মেনে এই বৈঠকের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-শুরুতে যা তিনেও তাই, উপলব্ধি শুভমনের
যদিও আর এক অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন সেনা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কেভিন রায়ান প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়েছে বলে মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, প্রিগোজিন যদি মারা যেতেন বা বন্দি হতেন তবে পুতিন সেটা কখনওই গোপন রাখতেন না। পুতিন মনে করলে প্রিগোজিনকে মেরে দিতেই পারেন। যদিও কোনও বড় নাম বা পরিচিত ব্যক্তিদের এভাবে হত্যা করা হয় না। কারণ সেক্ষেত্রে বড় বিদ্রোহের আশঙ্কা থাকে। রায়ান আরও বলেছেন, প্রিগোজিন বেঁচে থাকলেও ভবিষ্যতে তাঁর আর আগের ক্ষমতা থাকবে না।