প্রতিবেদন : ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়েই পড়ল অবশেষে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাকে অশান্ত করে তোলা আসলে যে বিজেপি ও গদ্দার অধিকারীর (BJP-Suvendu Adhikari) এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ তা আর গোপন থাকল না। এ-রাজ্যে ৩৫৫ বা ৩৫৬ জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে উঠে-পড়ে লেগেছে গদ্দার ও তার সহযোগীরা। তাই যেনতেনপ্রকারেণ বাংলায় আগুন জ্বালাতে চাইছে গদ্দার। আর সেই আগুনে রাজনীতির রুটি সেঁকার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। একটি বেসরকারি চ্যানেলকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হিংসার আগুনে বাংলাকে জ্বালানোর পরিকল্পনার কথা বেরিয়ে এসেছে। ওই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের লোডশেডিং বিধায়ক বলছে, পথই পথ দেখাবে… এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যাতে ৩৫৫ লাগবেই। এ-ছাড়া কোনও পরিত্রাণ পশ্চিমবাংলার নেই। অনেক জিনিস করাতে হয়। কী করে করাতে হয় আমি জানি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে সব মহলে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ট্যুইট করে প্রথম বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার সামনে আনেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেখানে গদ্দারের দেওয়া সাক্ষাৎকারের অংশটি তুলে ধরে তিনি আদালত-সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় সরকার যাতে হস্তক্ষেপ করে তাই হিংসা-অশান্তির ষড়যন্ত্র করছেন। প্রশাসন ও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কেন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা হবে না সে-প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আদালত এত কথা বলছে। শুভেন্দুকে সুরক্ষা কবচ দিয়ে রেখেছে। আজ এই ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে আসার পর আদালত কেন অবিলম্বে সুয়োমোটো মামলা করে শুভেন্দুকে (BJP-Suvendu Adhikari) গ্রেফতারের নির্দেশ দেবেন না!
এদিন ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাকেত গোখেল, দেবাংশু ভট্টাচার্যরা বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে তীব্র প্রতিবাদ জানান। এখানেই কয়েকটি প্রশ্ন করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
* যে-আদালত নির্বাচনের আগে-পরে অশান্তি-হিংসার ভিডিও দেখে কমিশন ও রাজ্য সরকারের থেকে কৈফিয়ত চেয়েছেন তাঁদের কি বিরোধী দলনেতার এই সাক্ষাৎকার ও ষড়যন্ত্রের বিষয়টি চোখে পড়ছে না? আর যদি চোখে পড়েও থাকে সেক্ষেত্রে গোটা পঞ্চায়েত ভোটপর্বে বাংলা জুড়ে যে হিংসা হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে তার পিছনে আসলে কে বা কারা ছিল তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও কি কোনও পদক্ষেপ করা হবে না?
* বাংলাকে অশান্তির আগুনে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ৩৫৫/৩৫৬-র মতো পরিস্থিতি তৈরি করার পিছনের ষড়যন্ত্রকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরও কোন আক্কেলে বাংলায় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম ঘুরে বেড়ায়?
* এত বড় ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে আসার পর কেন গদ্দারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত করা হবে না? গ্রেফতার হবে না?
এদিন রাজ্যপালের ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনিও বাংলা-বিরোধী চক্রান্তে শামিল। তিনি বিজেপি ও বিরোধীদের দলদাস। অতৃপ্ত আত্মা-এজেন্ট। ওঁর হাতে রাজভবনই নিরাপদ নয়।