যমুনার (Yamuna) ভয়ঙ্কর রূপ কিছুদিন আগে সবার চোখের সামনে এসেছে। ৪৫ বছরে এই প্রথমবার যমুনা তাজমহলের দেওয়াল ছুঁল। যমুনার জল এখন ৪৯৭.৯ ফুট উঠেছে। ‘বন্যার নিম্নস্তর’ ৫৯৫ ফুটের উচ্চতা পার করে গিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিপদের একপ্রকার প্রহর গুনছে আগ্রা ও দিল্লি।
আরও পড়ুন-আগামীকাল বাইশ গজে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান, বাড়ছে স্নায়ুর চাপ
শুধু তাজহমল নয় দশেরা ঘাটেও বেশ ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। উদ্বেগে রয়েছে এলাকাবাসী। এছাড়াও ইমাদ-উদ-দৌল্লা সংলগ্ন এলাকা, রামবাগ, মেহতাব বাগ, কলা গুম্বাড, জোহরা বাগ, চিনি কা রৌজার আশেপাশে বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন-Swasthyasathi card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কড়া পদক্ষেপ এবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এই বিষয়ে জানিয়েছে, এই সব সৌধ এখনও ক্ষতির দিকে যায়নি। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দাবি করেছে, ‘বন্যার জল তাজ মহলের বেসমেন্ট পর্যন্ত যায়নি’। ক্ষতির আশঙ্কা এখনও নেই। জানা গিয়েছে তাজমহল এমনভাবে তৈরী হয়েছে, যে যমুনার জল কোনও দিনই তার ধরে কাছেই প্রবেশ করতে পারবে না। আপাতত এই যমুনার জল তাজমহলের দেওয়াল পর্যন্ত গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বিদেশী বান্ধবীর বহুতলের নীচে চিকিৎসকের দেহ ঘিরে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য
জানা গিয়েছে শেষবার ৪৫ বছর আগে একবার যমুনার জল তাজমহলের দেওয়ার ছুঁয়েছিল। ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্বে অফ ইন্ডিয়া’ জানিয়েছে, ‘১৯৭৮ এর বন্যায় শেষবার তাজমহলের পিছন দিকের দেওয়াল ছুঁয়েছিল যমুনার জল।’ ১৯৭৮ সালের বন্যায় যমুনার জল ৫০৮ ফুট উপরে গিয়েছিল। সৌধের বেসমেন্টের ২২ টি ঘরে জল ঢুকেছিল সেই সময়। এই ঘটনার পরে সেখান থেকে কাঠের দরজা সরিয়ে দেওয়াল দেওয়া হয়েছিল।