সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : সাত বছর আগে তিনি যখন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী ছিলেন তখন এই সেতু নির্মাণে ৯ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন শান্তিরাম মাহাতো। একদিকে পুরুলিয়া মফস্বল থানার কাঁটাগোড়া, অন্যদিকে আড়শা থানার বামুনডিহার কাছে কংসাবতী নদীর উপর সেই সেতু নির্মাণে আবার তৎপর হলেন তিনি।
আরও পড়ুন-ভাঙল রায়মঙ্গলের বাঁধ, নদীগর্ভে রাস্তা, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রশাসন
এটি নির্মিত হলে আড়শা, বাঘমুন্ডি, জয়পুরের বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে পুরুলিয়া রাঁচি রোডের যোগাযোগ সহজ হবে। পর্যটনক্ষেত্র অযোধ্যা পাহাড়ে যাতায়াতও বাড়বে। মঙ্গলবার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের বাস্তুকারদের সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া কংসাবতী বেশির ভাগ সময় শান্ত থাকে। কিন্তু বর্ষাকালে রুদ্ররূপ ধারণ করে। তখন পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পুরুলিয়া মফস্বল থানার কাঁটাগোড়া লাগোয়া এই নদীপথ ধরে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় অন্তত কুড়িটি গ্রামের মানুষকে। শান্তিরামের বাড়িও ওই এলাকায়। ২০১৬-য় তিনি অর্থবরাদ্দ করেন। সেতু নির্মাণে কিছু নির্মাণসামগ্রীও ফেলা হয়।
আরও পড়ুন-স্কুলের ল্যাবে অ্যামোনিয়া বিস্ফোরণ, আহত শিক্ষক-সহ ১০ ছাত্রী
অরক্ষিত নির্মাণসামগ্রী চুরি হয়ে গেলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এদিন নদীর ধারে দাঁড়িয়ে শান্তিরাম মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে বর্তমান মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হবে। বর্তমান পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু জানিয়েছেন, ২০১৬-য় নির্মাণ সামগ্রীর যা দাম ছিল, এখন তা বহুগুণ বেড়েছে। দেখা হচ্ছে নির্মাণে কত খরচ হবে। সেইমতো অর্থবরাদ্দ করা হবে।