চেন্নাই, ৯ অগাস্ট : খেলার আগে পাক কোচ মহম্মদ সাকলিন জয়ের হুঙ্কার দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঠে তাঁর ছেলেরা শুধু চরম নাস্তানাবুদ হল না, হরমনপ্রীতদের কাছে ৪-০ গোলে হেরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স হকির সেমিফাইনালের দৌড় থেকেও ছিটকে গেল।
এই হারের পর পাকিস্তান এখন পঞ্চম স্থানে জন্য চিনের সঙ্গে লড়বে। আর ভারত পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিতে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষেই থেকে গেল। বুধবারের এই ম্যাচের পর টুর্নামেন্টের শেষ চারের লাইন আপও পরিষ্কার হয়ে গেল। প্রথম সেমিফাইনালে মালয়েশিয়া খেলবে কোরিয়ার বিরুদ্ধে। আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী জাপান।
আরও পড়ুন-বিলকিসের ধর্ষকদের মালা পরানো সমর্থন
পাকিস্তান যে চাপ নিয়ে এই ম্যাচে নেমেছিল, ভারতের জন্য সেটা ছিল না। হরমনপ্রীতরা আগেই সেমিফাইনালের ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানকে জিততেই হত। এমনকী খেলার ২ মিনিটে পাকিস্তানের হান্নান একটা গোলও করে ফেলেছিলেন। তবে হরমনপ্রীতরা রেফারেল নিলে সেই গোল বাতিল হয়। পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আর গোল হয়নি।
আরও পড়ুন-হাতে তুলে দেওয়ার ছক, লোকসভায় বিস্ফোরক কাকলি
পাক কোচ সাকলিন খেলার আগে বলেছিলেন ভারতের দুর্বলতা তাঁরা জানেন। কিন্তু মেয়র রাধাকৃষ্ণণ স্টেডিয়ামে পাক দলের এদিনের খেলা দেখে মনে হয়নি তারা ভারতকে চেপে ধরতে পারে। বরং বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রেখে দিয়েছিলেন হরমনপ্রীতরা। পাকিস্তান বারবার আক্রমণ করেছে। কিন্তু ভারতীয় ডিফেন্স ঠান্ডা মাথায় সেই আক্রমণ প্রতিহত করেছে।
১৫ মিনিটে প্রথম গোল করে ভারতকে ১-০-তে এগিয়ে দিলেন হরমনপ্রীত। সেই কিলার ড্র্যাগ ফ্লিকে পাক জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। গোলকিপার আকমল হুসেন বাঁচানোর কোনও সুযোগ পাননি। এরপর ২৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলও হরমনপ্রীতের। তাঁর উঁচু হিট আটকাতে পারেননি আকমল। প্রথমার্ধে পরপর দুটি গোল হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হতোদ্যম হয়ে পড়েন সাকলিনের ছেলেরা। তাঁরা সেখান থেকে আর বেরোতে পারেননি।
আরও পড়ুন-দিদির হাত ধরেই নয়া ভোর আদিবাসীদের : বীরবাহা
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পরও আরশাদ লিয়াকতরা নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেননি। অনেকে ভেবেছিলেন গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা চালাবে পাকিস্তান। কিন্তু হয় উল্টো। ৩৬ মিনিটে ভারতকে ৩-০-তে এগিয়ে দেন যুগরাজ সিং। তাঁর ড্র্যাগ ফ্লিক পাক গোলকিপার আকমলের হাত ছুঁয়ে ভারতকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেয়। যুগরাজের হিটে এত পাওয়ার ছিল যে আকমল বলে হাত দিলেও থামাতে পারেননি। এরপর ৪১ মিনিটে হরমনপ্রীত আরও একটি গোল করেছিলেন। তবে ডেঞ্জারাস শট বিবেচনা করে সেই গোল বাতিল হয়েছে।
আরও পড়ুন-বার্ধক্যভাতা বন্ধ করল কেন্দ্র
৫৫ মিনিটে ভারতের হয়ে চতুর্থ গোল করেন আকাশদীপ সিং। বাঁদিক থেকে নীলকান্ত উঠে এসে মনদীপকে বল বাড়িয়ে দেন। তিনি বল ট্র্যাপ করে দুই পাক ডিফেন্ডারের মধ্যে দিয়ে আকাশকে পাস করলে তিনি গোল করতে কোনও ভুল করেননি। এরপর ৫৯ মিনিটে কার্তি সেলভামের হিট বাঁচিয়ে দেন আবদুল্লা খান। না হলে ব্যবধান আরও বাড়ত।