শনিবার সন্ধ্যায় যাদবপুর থানায় (Jadavpur Police station) এসেছিলেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম শঙ্খ শুভ্র চক্রবর্ত্তী। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি কমিশনার সাউথ সাব আর্বান ডিভিশন বিদিশা কলিতা। স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে জড়িত থাকার সন্দেহে যাদবপুরের আরও ১০ থেকে ১২ জন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। হস্টেল থেকে উদ্ধার হয়েছিল কালো ডায়রি। সেই নিয়ে ক্রমশ রহস্য বাড়ছে। এই আবহে যাদবপুর কাণ্ডে আরও দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হল।
আরও পড়ুন-অসাধারণ তৎপরতার স্বীকৃতি চিফ মিনিস্টার্স পুলিশ মেডেলে, এই প্রথম পুরস্কৃত হবেন দক্ষ আমলারাও
যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন দীপশেখর দত্ত (১৯), মনোতোষ ঘোষ (২০) নামের দুই পড়ুয়া। মনোতোষের ঘরে স্বপ্নদীপ থাকতো বলে খবরজানা গিয়েছে। মনোতোষের গেস্ট হিসাবে রাখা হয়েছিল। এই দুই অভিযুক্ত স্বপ্নদীপকে নানারকমভাবে মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করেছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের হাতে তেমন প্রমাণ রয়েছে। সৌরভ চৌধুরী ছাড়া মনতোষ ঘোষের নামে স্বপ্নদীপের বাবা অভিযোগ করেছিলেন।
আরও পড়ুন-হতাশ বিজেপি, কী করবে ভেবে পাচ্ছে না
জানা যায়, দীপশেখর দত্তর বাড়ি বাঁকুড়ায়। মনোতোষ ঘোষের বাড়ি হুগলির আরমবাগে। দু’জনেই রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ভোররাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মনোতোষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দীপশেখর অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দু’জনেই আর্টসের ছাত্র সংগঠন ‘ফোরাম ফর আর্টস স্টুটেন্ডসের’ সক্রিয় সদস্য।
আরও পড়ুন-জয়াপ্রদার কারাদণ্ড
জানা গিয়েছে, রবিবারই দু’জনকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। আপাতত তারা লালবাজারে আছে। এই দুইজন সৌরভ চৌধুরীর খুব কাছের। হোস্টেলে সৌরভ একপ্রকার ‘দাদা’ হয়ে উঠেছিল, আর এই দুইজন ছিল সেই ‘দাদার’ ডান ও বাম হাত। ঘটনার পর মনোতোষ ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সব পোস্ট মুছে ফেলেছিল।