প্রতিবেদন : যাদবপুরকাণ্ডের মাঝেই কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনাধীন বিশ্বভারতী ফের বিতর্কে। ঘটনা অনেকটাই যাদবপুরের মতো। সামাজিক মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর পোস্ট ঘিরে বিগত ২৪ ঘণ্টায় তুলকালাম শুরু হয়েছে। আর সেখানে ছত্রে ছত্রে বিভাগীয় অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ওই ছাত্রী লিখেছেন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে আমি বিধ্বস্ত। এখানে পড়তে এসেছিলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে। আর টিকতে পারছি না। বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের এই সোশ্যাল মিডিয়াটির নাম ভি বি কনফেশনস।
আরও পড়ুন-অসাধারণ তৎপরতার স্বীকৃতি চিফ মিনিস্টার্স পুলিশ মেডেলে, এই প্রথম পুরস্কৃত হবেন দক্ষ আমলারাও
সেই পেজে সদস্য নাম ছাড়াই পোস্ট করতে পারেন তাঁদের কথা। সেখানেই ছাত্রীটি অভিযোগ করেছেন, সঙ্গীতভবনের একাধিক অধ্যাপক তাঁকে শারীরিক ও মানসিক শোষণ করেছেন। লিখেছেন, এতদিন ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। শুধু বাবা-মা-ভাইয়ের জন্যই বেঁচে আছি। বেশিদিন হয়তো টিকে থাকতে পারব না। এই ঘটনা রীতিমতো ভাইরাল। পড়ুয়ারা চেয়েছেন তদন্ত। কিছুদিন আগে একইভাবে নির্যাতনের অভিযোগে বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপক গ্রেফতার হন। ফের আর একটি ঘটনা। বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্যের আমলে এমন এমন ঘটনা ঘটছে যাতে বিশ্বভারতীর কর্মী থেকে পড়ুয়া সকলেই বিরক্ত, ক্ষুব্ধ এবং উপাচার্যের অপসারণ চান।
আরও পড়ুন-কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর
কিছু দিন আগে যে অধ্যাপক গ্রেফতার হন, তিনি জামিনে মুক্ত হলেও বিশ্বভারতী তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ২০১৯-এ শিক্ষাভবনে এক পড়ুয়ার দেহ পাওয়া যায়। আর গত বছর একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার দেহ হস্টেলে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। অথচ উপাচার্য থেকে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। বর্তমান ঘটনার জানার বিশ্বভারতীর তরফ থেকে বলা হয়, এটা গল্প। যদি তাই হয়, তাহলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানায়নি কেন? এই ঘটনা বিশ্বভারতীতে যারা পড়ছেন, তাদের অভিভাবকরা আশঙ্কিত।