প্রতিবেদন : কলকাতার তিন বড় ক্লাবের বিপদে-আপদে বরাবর পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর দিয়েছেন বঙ্গবিভূষণ সম্মান। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের পর এবার মহামেডান ক্লাবের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি। খেলা হবে দিবস উপলক্ষে নবরূপে সজ্জিত মহামেডান ক্লাবের তাঁবু ও ড্রেসিংরুমের উদ্বোধন করে তিনি মহামেডানের গ্যালারি গড়তে ৬০ লাখ টাকা সরকারি সাহায্যের ঘোষণা করলেন। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পরের বছরের মধ্যেই মহামেডানকেও আইএসএলে দেখতে চান। সেইজন্য তিনিও কিছু আর্থিক সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মহামেডান সমর্থকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিলেন, ‘আগামী মরশুমেই আইএসএল খেলতে হবে। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিন।’
আরও পড়ুন-৩৭০ ধারা শুনানি: রাম ও রঘুবংশ প্রসঙ্গ সুপ্রিম কোর্টে
ক্লাবের সমস্ত সদস্য-সমর্থকদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে এবং বণিকসভাগুলির সহযোগিতা চেয়ে তহবিল জোগাড় করার তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আইএসএলে কেন খেলবে না মহামেডান? ১ টাকা করে সমর্থকরা দিলেই হয়ে যাবে। দরকার পড়লে ওরিয়েন্টাল চেম্বার অফ কমার্সের সাহায্য চাইতে পারে মহামেডান। ওরা সংখ্যালঘুদের বহু কাজ করে।’ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ময়দানের ক্লাবগুলি সংস্কার ও আধুনিকীকরণের কাজ করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-ফাইনাল পরীক্ষা শুরু, এবার শেষ কক্ষপথে প্রবেশ করল চন্দ্রযান-৩
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার খেলাধুলার উন্নয়নে সব সময় উদ্যোগী। মহামেডান ক্লাবকে এ পর্যন্ত সাড়ে সাত কোটি টাকা সাহায্য করা হয়েছে। একই রকম ভাবে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের উন্নয়নের অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের পাঁচ লক্ষের বেশি ক্লাবকে খেলাধুলার মান উন্নয়নে রাজ্য সরকার অর্থ সাহায্য করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন ক্রিকেটের মতো ফুটবলে বাংলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। এ জন্য স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে কথা বলে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা ও ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-বিপাকে ইমরান, মেয়াদ বাড়ল না অন্তর্বর্তী জামিনের
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, মহামেডান ক্লাবের সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি এবং প্রতিবেশী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের কর্তারাও আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।