সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : এবার লুঠপাটের অভিযোগ উঠল বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তাঁর হুমকি, শাসানির ভয়ে ঘরছাড়া এক মহিলা। অভিযুক্তের নাম চন্দ্রমোহন রায় এবং তাঁর সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তি আনন্দ রায় এবং অজিত রায়। চন্দ্রমোহন রায় রামসাই অঞ্চলের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনাটি ময়নাগুড়ি ব্লকের রামসাই অঞ্চলের চ্যাংমারি গ্রামের। চলতি মাসের ১১ তারিখে ওই মহিলা তাঁর জমিজমার কাজ দেখতে জমিতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-ছাত্রীহেনস্থার তদন্তে পুলিশ আসতেই ভয় পেয়ে আটকাতে বর্ষামঙ্গল বন্ধ করে ধর্না শুরু উপাচার্যর
জমি থেকে ফিরে এসে দেখেন তাঁর ঘরের দরজা ভাঙা এবং ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর ঘরে একটি বাক্সের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল, সেই নথিগুলিও বের করে নেয় অজিত রায়। অভিযোগকারিণী ওই মহিলার নাম সুষমা রায়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, যখন অজিত রায় তাঁর বাক্সের তলা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বের করে নেয় সেসময় তাঁর গলা থেকে সোনার চেনও ছিনতাই করে নেয়। তখন তিনি চিৎকার করলে চন্দ্রমোহন রায় এবং আনন্দ রায়ের প্ররোচনায় অজিত রায় তাঁকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। কোনওক্রমে তিনি পালিয়ে বাঁচেন। এই মুহূর্তে তিনি প্রাণভয়ে ময়নাগুড়ি শহরে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন এবং বিষয়টি তিনি লিখিত আকারে ময়নাগুড়ি থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও অভিযুক্তরা এখনও অধরা।
আরও পড়ুন-উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলা পরিষদে তৃণমূলের বোর্ড গঠনে উচ্ছ্বাস, মালদহে নারীশক্তির জয়
এরা তিনজনই পলাতক এদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, প্রায় প্রতিদিনই উঠে আসছে বিজেপির হিংসার ছবি। এবার এই ঘটনা আরও একধাপ এগিয়ে গেল। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগে স্বাভাবিকভাবে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। যদিও এই বিষয়ে কুলুপ এঁটেছে রাজ্য নেতৃত্ব। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।