৪৫ নম্বর পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে (Pathuriaghata street) এই বাড়িটিকে পুরসভার পক্ষ থেকে আগেই বিপদজনক বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল । বাড়ির দেওয়ালে সতর্কতামূলক বোর্ডও টাঙানো ছিল। এরপরেও ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন বেশকিছু পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রায় ১০০ বছর পুরনো একটি পাঁচ তলা বাড়ির তিন তলার একটি অংশ ভেঙে পড়ে। হঠাৎ এই বিকট শব্দে বাড়ির বাসিন্দারা ভয়ে বাইরে বেরিয়ে চলে আসেন।
ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন এক দম্পতি এবং এক নাবালক। দমকলের সাহায্যে রাত তিনটে নাগাদ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। বাকি দু’জনের চিকিৎসা চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামীর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-বিজেপি সাফ পূর্ব মেদিনীপুরে, নারীর ক্ষমতায়ন, সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী
পুলিশ এর তরফে জানা গিয়েছে, বাড়িটিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বিপজ্জনক বাড়ি হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। সতর্কতামূলক বোর্ডও টাঙানো ছিল বাড়ির দেওয়ালে। তা সত্ত্বেও বাড়িটিতে প্রায় ৩০-৪০ জন বাসিন্দা বসবাস করছিলেন। এই দুর্ঘটনার পর বাড়িটির মালিকপক্ষ এবং পুরসভার উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাসিন্দারা।