যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর অভিযোগের আবহে সূদূর অন্ধ্রপ্রদেশের (Student Death- Andhra Pradesh) বিশাখাপত্তনমে পড়তে গিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হল রাজ্যের এক ছাত্রীর। এরপর খুনের অভিযোগে সরব হয়েছে মৃতার পরিবার। মেয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। শুনানির পর আদালত এক মাসের মধ্যে ওই হস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। কর্তৃপক্ষের তরফে গোটা ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হলেও মৃতের পরিবার তা মানতে নারাজ। তাঁরা নিশ্চিত কোনও ভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না রীতি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগও উড়িয়ে দিচ্ছে না মৃতার পরিবার।
আরও পড়ুন: মোদি সরকারের দ্বিচারিতা, বিপন্ন বাংলার শিক্ষিত যৌবন
মৃতের নাম রীতি সাহা। ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন নিয়ে কিছুদিন আগে বিশাখাপত্তনমের একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন রীতি। সেখানে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার পাশপাশি চলছিল নিটে বসার প্রশিক্ষণ। কিন্তু সেই পরীক্ষায় বসার আগে রহস্যজনক ভাবে গত ১৪ জুলাই হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে যায় রীতি। ঘটনার দুদিন পর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু (Student Death- Andhra Pradesh) হয়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, গত ১৪ জুলাই রাত এগারোটা নাগাদ হস্টেলের সুপার ফোন করে জানান, ৪ তলার ছাদ থেকে পড়ে গেছে রীতি। পরের দিন বিশাখাপত্তনমে যান তাঁরা। ১৬ জুলাই হাসপাতালে মৃত্যু হয় রীতির। পরিবারের প্রশ্ন, হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও প্রায় ৮ ফুট দূরে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছিল। তাহলে এটা কীভাবে আত্মহত্যা? সেকি সত্যিই হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল নাকি পাশের বাড়ির ছাদ থেকে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল? প্রশ্ন মৃতার বাবা শুকদেব সাহার। এছাড়াও কিছুদিন আগে হস্টেলের ঘরে মদের বোতল নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছিলেন রীতি। তাহলে কি সেই কারণেই খুন হতে হল তাঁদের মেয়েকে, উঠছে প্রশ্ন। মৃতার বাবা বলছেন, ও কেন আত্মহত্যা করতে যাবে? কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ পরিবারের। প্রথমে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মেনে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। স্থানীয় থানাও প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি। এরপরই সুবিচার পেতে গত ৮ অগাস্ট অন্ধ্রপ্রদেশের আদালতে মামলা করেন তারা।