নবনীতা মণ্ডল, নয়াদল্লি: ভারতীয় দণ্ডবিধি, অপরাধ আইন এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনের নাম বদলে কেন্দ্র করেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য বিল। নামকরণেই স্পষ্ট গেরুয়া শিবিরের হিন্দুত্ববাদী নীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। বাদল অধিবেশনে কোনও পূর্বালোচনা ছাড়াই এই বিল পেশ হয়েছে। তিন বিল নিয়ে আলোচনা করতে ২৪, ২৫ এবং ২৬ অগাস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তড়িঘড়ি স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা থেকে শুরু করে আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। বিরোধী শিবিরের অনেক নেতা ইতিমধ্যেই বৈঠকের দিন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে কমিটির সভাপতি ব্রিজলালকে চিঠি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে ১২০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগ
২৪ অগাস্ট থেকে তিনদিনের বৈঠক সম্পর্কে সদস্যরা জানতে পেরেছেন ১৯ অগাস্ট সকালে। স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পর সব সদস্যই ফিরে গিয়েছেন নিজেদের রাজ্যে। ফলে ৪ দিনের মধ্যে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে দিল্লিতে বৈঠকে যোগ দিতে আসা সম্ভব নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বৈঠকের দিন পরিবর্তন করতে বলে কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলালকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি লিখেছেন, বাদল অধিবেশন শেষ হয়ে গিয়েছে। সাংসদদের নিজেদের এলাকায় কিছু প্রতিশ্রুতি থাকে, নির্ধারিত কর্মসূচি থাকে। এ-ছাড়াও রাজ্যস্তরে নানা কর্মসূচি থাকে। ফলে বৈঠকের সময়সূচি ঘোষণার জন্য মাত্র এই ক’টা দিন সময় যথেষ্ট কম। ইন্ডিয়া শিবিরের তরফে অন্যান্য সাংসদরাও কমিটির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিতে চলেছেন।
আরও পড়ুন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েলে ফিরছে নতুন কোভিড
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হলেও রাজি হননি কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলাল। অথচ সেই কমিটিই আবার ভারতীয় দণ্ডবিধি বিল নিয়ে তড়িঘড়ি আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্ষুব্ধ ইন্ডিয়া শিবিরের বক্তব্য, মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হলেও সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ এখন, সেই কমিটি নিজেদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা পূরণ করতে নতুন তিন বিল নিয়ে আলোচনা করতে চায়! তিন বিলে ব্যবহৃত হিন্দি নামকরণেও আপত্তি উঠে এসেছে।