প্রতিবেদন : যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার জন্য ১০০ শতাংশ দায় রাজ্যপালের। মঙ্গলবার বিধানসভায় স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। র্যাগিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি নির্মূল করতে রাজ্য যে আপসহীন মনোভাব নিয়েছে তা বিধানসভায় এদিন খোলাখুলিভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন-চম্পাহাটিতে বাজি হাবের জমি দেখল প্রশাসন
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, যাদবপুরের ঘটনায় সরকার সময়োচিত ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁর সাফ কথা, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার জন্য একশো শতাংশ দায় রাজ্যপালের। রাজ্য নিযুক্ত উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাই কোনওভাবেই রাজ্যপাল দায়িত্ব এড়াতে পারে না। রাজ্য সরকারের আদেশ প্রয়োগ বা কার্যকর করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তাই যাদবপুরের ঘটনার দায় অবশ্যই রাজ্যপালের ওপর বর্তায়। ছাত্রমৃত্যুর একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে প্রতিষ্ঠান দখল করার চেষ্টা চলছে তারও তীব্র সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন-মহানন্দা নদী থেকে বালি পাচার, কী করছে বিএসএফ, বাংলাদেশি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় এদিন মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা সরকারের দিকে আঙুল তুললে তাঁকে ধুইয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। কড়া জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে তিনি কটাক্ষের সুরে মন্তব্য করেন, উনিই হয়তো র্যাগিংকে সমর্থন করছেন, উনিই হয়তো র্যাগিং করতে চান। এককথায় শিক্ষামন্ত্রীর যুক্তির কাছে এদিন মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি বিরোধীরা।