সুতপা চৌধুরী (Sutapa Chowdhury Murder case) খুনে প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীকে ফাঁসির সাজা শোনাল বহরমপুর আদালত। গতবছর ২ মে বহরমপুরের শহিদ সূর্য সেন রোডে এক মেসের সামনে রাস্তায় বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপাকে কুপিয়ে খুন করে সুশান্ত। ঘটনায় ফুটেজ দেখেই সুশান্তকে ধরে পুলিশ। মঙ্গলবার, তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বৃহস্পতিবার, তাকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত।
২ মে বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে মেসের সামনে ডেকে কুপিয়ে খুন করে সুশান্ত। স্থানীয় মানুষকে ভয় দেখাতে নকল পিস্তল উঁচিয়ে ভয় দেখায় ওই যুবক। পর পর ছুরির আঘাতে মৃত হয় সুতপার। সুতপার দেহে ৪২টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরের দিনই গ্রেফতার করা হয় তরুণীর প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরাতেও খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত। সুশান্তকে বহরমপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে সে বলে, “সুতপার (Sutapa Chowdhury Murder case) মা-বাবা দিনের পর দিন মানসিক অত্যাচার করত। তাই ওকে খুন করেছি। এর জন্য যা শাস্তি হয় তা মাথা পেতে নেব।“ “খুন করেছি, যা সাজা হয় হবে”- বহরমপুরে ছাত্রী খুনে আদালতে কবুল ধৃতর। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ৭৫ দিনের মাথায় বহরমপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। সুশান্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২-সহ একাধিক ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। আদালতে ৩৮৩ পাতার চার্জশিট জমা পড়ে।
আরও পড়ুন-চিকিৎসকদের অনুমতির পরেই ২৬ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাত সম্ভব, জানাল হাই কোর্ট
খুনের ১৫ মাসের মাথায় গত মঙ্গলবারই অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সুশান্তের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ বলেন, তাঁর মক্কেল এক জন মেধাবী ছাত্র। তাঁর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অন্ততপক্ষে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হোক। কিন্তু এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরল আখ্যা দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক। রায়ের কপি পাওয়ার পরেই উচ্চতর আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান পীযূষ ঘোষ। চোখের জলে মেয়ের খুনির সাজা শোনেন সুতপার বাবা।