শুরু হয়ে গিয়েছে ন্যাশনাল নিউট্রিশন উইক বা জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। এ-বছর এর থিম হল ‘Healthy diet gawing affordable for all’ অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর ডায়েট হোক সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে। আমাদের দেশে বহু মানুষ অপুষ্টির শিকার বিশেষ করে নারী। মহিলাদের মধ্যে পুষ্টি সচেতনতা নেই বললেই চলে। অথচ নারীই সংসারের চালিকাশক্তি তাই তাঁদের যত্ন-আত্তি,খাওয়াদাওয়া সার্বিক পুষ্টি সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু পরিবারের পুষ্টির কথা চিন্তা করে দিনাতিপাত করেন যাঁরা সেই মেয়েদের পুষ্টিতেই থেকে যায় বড় ফাঁক। তাঁদের পরিবার পরিজনও বিষয়টাকে একেবারেই গুরুত্ব দেন না। বেশিরভাগ মেয়েই নিজের পছন্দের খাবারটুকুও রান্না করেন না। যা সবাই পছন্দ করে সেটাই তাঁরা রান্না করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অনেককেই বলতে শোনা যায়, একার জন্য আর কিছু করতে ইচ্ছে করে না।
আরও পড়ুন-‘কর্মসংস্থান ও পানীয় জলই পাখির চোখ’ পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো
মনে রাখতে হবে পুষ্টি মানে শুধু শারীরিক পুষ্টি নয়, এর সঙ্গে জুড়ে আছে মনটাও। অর্থাৎ মেন্টাল হেলথের সঙ্গেও আমাদের ওভারঅল নিউট্রেশনের একটা বড় যোগ রয়েছে।
তাহলে পুষ্টি আসলে কী
পুষ্টি বলতে আমরা সাধারণভাবে বুঝি খাদ্য। অর্থাৎ আমরা যে খাবারটা খাচ্ছি তার মধ্যে কতটা নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে। এখানে আবার নিউট্রিয়েন্টস দু’ধরনের হয়। ম্যাক্রো এবং মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস। ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টস হল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট অর্থাৎ যেখান থেকে আমরা শরীরের জন্য এনার্জিটা পাই। মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টসের অন্তর্গত হচ্ছে ভিটামিন এবং মিনারেলস। কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন এবং ফ্যাট অর্থাৎ ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টস যেটাই থাকুক না কেন, আসলে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টসগুলি তাঁদের সাহায্য করে কাজ করতে অর্থাৎ এদের মানবদেহের কার্যকারিতা নির্ভর করে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টসগুলির ওপর।
আরও পড়ুন-বিভিন্ন বয়সি মহিলাদের পুষ্টি
স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা এলে আমরা সবসময় খাদ্য নিয়েই কথা বলি কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বলেন, স্বাস্থ্য মানে শুধু ফিজিক্যাল হেলথ বা শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, মানসিক স্বাস্থ্য বা মেন্টাল হেলথ এবং সোশ্যাল হেলথ অর্থাৎ সামাজিক স্বাস্থ্যও। আধুনিক যুগ হোক বা প্রাচীন, বাড়ির মহিলারা কোনওদিনই খুব হেলদি লাইফ স্টাইল লিড করেননি। কারণ এঁদের মধ্যে একাংশ কোনও পুষ্টিকর খাবারই খান না, অপর অংশ যাঁরা হয়তো পুষ্টিকর খাবার খান কিন্তু অন্যদিক থেকে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। অর্থাৎ কী ধরনের খাবার তাঁরা খান— এর পাশাপাশি তাঁদের পরিবেশ কেমন এবং দৈনন্দিন স্ট্রেস লেভেল কেমন সেটা জানাও খুব জরুরি। আগে বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে একধরনের স্ট্রেস বহন করে চলতেন মহিলারা আর আজ বেশিরভাগই কর্মরতা। ফলে চাপটা অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-যুদ্ধবিমানের জেট ইঞ্জিন বানাতে চায় ভারত-আমেরিকা
ওয়র্কিং উইমেনরা নিজের গরজে স্বাস্থ্যকর খাবারটা খেলেও হয়তো দেখা যাবে ঠিক সময়মতো সেই খাবারটা তাঁরা খাচ্ছেন না। কাজের চাপে লাঞ্চ স্কিপ করে যাচ্ছেন বা দুপুরের খাবার সময়টা গড়িয়ে বিকেলে চলে যাচ্ছ। সেই সঙ্গে টার্গেট অ্যাচিভ করার কনস্ট্যান্ট একটা প্রতিযোগিতা, জীবনের ঘোড়দৌড়ে পড়ে তাঁদের স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি, টেনশন নিত্য বাড়ছে যা পুষ্টির পরিপন্থী।
কাজেই পুষ্টির নিরিখে একজন মেয়ের পারপার্শ্বিক পরিবেশটা কেমন সেটা দেখতে হবে অর্থাৎ সোশ্যাল হেলথ জরুরি, সঙ্গে মেন্টাল হেলথ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটাও জানা ভীষণ জরুরি। কারণ মেয়েদের স্ট্রেস, অ্যাংজাইটির আর কোনও নির্দিষ্ট বয়ঃসীমা নেই। ছোট থেকে জীবনের শেষ বয়স পর্যন্ত প্রজন্মের পর প্রজন্ম নিরন্তর চলতে থাকে নানা ধরনের মানসিক চাপ। কাজেই কোনও একটার ঘাটতি মানে পুরো পুষ্টির ঘাটতি।
আরও পড়ুন-ফাইনালে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বিদেশিরাই
ফলে সেই মেয়েটিই যখন মা হচ্ছে তখন সে একটি অপুষ্ট শিশুর জন্ম দিচ্ছে। শিশুটি ছোট থেকেই অপুষ্ট থেকে যাচ্ছে ফলে প্রচুর ওষুধের বোঝা বহন করতে হচ্ছে।
তাহলে পুষ্টিটা কখন থেকে দরকার? আমরা যখন মাতৃগর্ভে তখন থেকে আমাদের পুষ্টির দরকার, কারণ, একটি মেয়েই নতুন প্রাণের ধারক। পুত্র হোক বা কন্যা, একটা সুস্থ সন্তানের জন্ম তিনিই দিতে পারেন।
কিন্তু এই সমাজে মেয়েদের পুষ্টি নিয়ে কেউ চিন্তা করে না। মেয়েদের আবার পুষ্টি কী! যা পুষ্টি সব ছেলেদের, তাই ছেলেদের পাতটাই সাজানো থাকে, মেয়েদের নয়। আমাদের প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে অনেক বেশি মিথ রয়েছে, যার ফলে হবু মায়েদের অনেক কিছু খেতে দেওয়া হয় না ফলে, তাঁদের শরীরে অনেক পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়।
আরও পড়ুন-বিজেপি ভীত, তাই এজেন্সি নামিয়ে ছক গ্রেফতারের, মন্তব্য খাড়গের
মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন ধাপে আলাদা আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন কারণ তাঁদের মধ্যে বয়স অনুযায়ী নানাধরনের হরমোনাল চেঞ্জ আসে। কাজেই অ্যাডোলসেন্স, প্রেগন্যান্সি ল্যাকটেশন এবং মেনোপজের পরে পুষ্টিরও চাহিদা বদলে যায়।
একটি শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে মাতৃদুগ্ধই কিন্তু তাঁর প্রথম পুষ্টি, কাজেই একজন মা এবং তাঁর সন্তান দু’জনেরই এই সময় সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন।
বয়ঃসন্ধিকালে যখন একজন মেয়ে পৌঁছয়, তখন তার ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং আয়োডিনের সঠিক ঘনত্ব তাদের বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। কারণ, এই সময়টা বেশ কিছু জৈবিক ও হরমোনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-৮৯৩১টি শিবিরে ৩৫ রকমের সুবিধার আবেদন
মেনোপজের পরে বা বৃদ্ধ বয়সে শরীরে পুষ্টির অভাব ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হৃদরোগের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অনেক পরিবর্তন আসে। শরীরে মেদ আর পেশিতে দুর্বলতা দেখা দেয়। এই বয়সে মহিলাদের অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, সঠিক জীবনযাপনের কারণে এ-সব সমস্যা এড়ানো যায়। খাদ্যতালিকা থেকে অতিরিক্ত চিনি বা লবণ গ্রহণ এড়াতে হবে। এছাড়াও, ট্রান্স-ফ্যাটি অ্যাসিড, টিনজাত ফলের রস, কার্বনেটেড পানীয় এবং মিষ্টি বর্জন করা দরকার। শারীরিক কসরত যেমন ব্যায়াম, সাঁতার কাটা ইত্যাদি খুব জরুরি। সময়মতো খাবার এবং পর্যাপ্ত ঘুম মেয়েদের শরীরকে সবদিক থেকে পুষ্টিসমৃদ্ধ করে।
পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষা করা সহজ নয়, কারণ, শুধুমাত্র আপনার শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সঠিক খাবারেরই প্রয়োজন রয়েছে এমন নয়, এর সঠিক সংমিশ্রণও দরকার। কার্বোহাইড্রেট, লিপিড, প্রোটিন, জল, ভিটামিন এবং খনিজ— এই ছ’টি শ্রেণির পুষ্টি একসঙ্গে স্বাস্থ্যের জন্য বড় কাজ করে। নিয়মিত জল খাওয়াও জরুরি।
আরও পড়ুন-শিক্ষারত্ন পাচ্ছেন কুলপির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
পুষ্টির ঘাটতিতেই আসে ক্লান্তিও
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা ‘সিএফএস’ ক্লান্তির অন্যতম প্রধান কারণ। একজন পুরুষের চেয়ে মেয়েদেরই আক্রান্তের হার বেশি। সব সময় ক্লান্ত লাগা। দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রার সমস্যায় ভোগা। মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, বমিবমি ভাব। মনোবল কমে যাওয়া ইত্যাদি। এর অন্যতম কারণ হল মেয়েদের শরীরে পুষ্টির অভাব।
এছাড়া হরমোনাল ইমব্যালেন্স, ভাইরাসের সংক্রমণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এমনকী প্রচণ্ড মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকেও ক্লান্তি আসে প্রচণ্ড। ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠানামার কারণেও ক্লান্তি আসতে পারে। সবটাই কিন্তু ওভার অল শারীরিক, মানসিক, পুষ্টির ঘাটতি থেকেই হয়।
আরও পড়ুন-এশিয়াড সোনায় চোখ প্রজ্ঞানন্দের, আনন্দকে সরিয়ে এক নম্বর গুকেশ
ক্লান্তির আরও একটা বড় কারণ অস্বাস্থ্যকর ডায়েট। শরীর সুস্থ রাখতে প্রত্যেকদিন সঠিক ডায়েট মেনে খাবার খাওয়া খুবই দরকার। যাতে সঠিক পরিমাণে ক্যালোরি থাকবে। প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ না পেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। সঙ্গে ক্লান্তি, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, হাড়ে ব্যথা— এই ধরনের উপসর্গগুলো দেখা যায়। আর মহিলাদের শরীরে নির্দিষ্ট ভিটামিন, খনিজের ঘাটতি হওয়াতে ক্লান্তির সমস্যা বেশি হয়। ৩০ পেরোলেই মেয়েদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা আসতে শুরু করে। ঠিক এই পর্যায় থেকে তাঁদের মধ্যে রক্তাল্পতা, অস্টিওপোরোসিস, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মূলত এই বয়সের এই ধাপে এসে আয়রন, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হয়।
ক্লান্তির আরও একটা বড় কারণ হল ডিহাইড্রেশন। শরীর থেকে ফ্লুইডের পরিমাণ কমে গেলেই ডিহাইড্রেশন হতে পারে। আর এর ফলে ক্লান্তি ঘিরে ধরে।
আরও পড়ুন-ধ্বংসের মুখোমুখি আমাদের সংবিধান
অধিকাংশ মহিলাদেরই ইদানীং পিরিয়ডসের সমস্যা থাকে। আর তাই শরীরে যাতে আয়োডিনের ঘাটতি না হয় সেইদিকে লক্ষ্য রাখুন কারণ শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি হলে গর্ভপাত, মৃত সন্তান প্রসব, সময়ের আগে প্রসবের ঝুঁকি থেকে যায়। মেয়েদের শরীরে সবচেয়ে বেশি আয়রনের অভাব থাকে। আয়রনের অভাব হলে ভীষণ ক্লান্তি আসে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, মাথা ঘোরা ইত্যাদি হতে পারে।
৫০ বছর বয়সি মহিলাদের ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন বি-১২ এবং ফলিক অ্যাসিডের প্রয়োজন। শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার ক্ষেত্রে এগুলো প্রয়োজনীয়। যদি এই ভিটামিনগুলোর ঘাটতি থাকে শরীরে তবে অনেকগুলি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা তো হয়ই পাশাপাশি ক্লান্তি বেড়ে যায়। মেনোপজের পরে যদি লিভার ম্যাগনেসিয়াম সঠিকভাবে শোষণ করতে সক্ষম না হয় তবে ম্যাগনেসিয়ামও উচ্চমাত্রায় গ্রহণ প্রয়োজন।
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করবে ভিটামিন
বিশেষজ্ঞের মতে নারীদেহের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এমন গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ভিটামিন রয়েছে। যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা জরুরি যেমন—
ভিটামিন-এ : ভিটামিন-এ মহিলাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের হাড়, চামড়া, দাঁত ঠিক রাখে, টিস্যু তৈরি করে, ক্রনিক ডিজিজ প্রতিরোধ করে, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
ভিটামিন-বি-২ : রাইবোফ্লাবিন নামের ভিটামিনটি মেয়েদের মেন্টাল হেলথ খুব ভাল রাখে। এছাড়া শরীরে শক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা কমিয়ে উৎফুল্ল করে তোলে। পরিপাকতন্ত্র ভাল রাখে, স্নায়ু কর্মক্ষম করে, মুখের আলসার, শুষ্ক চুল, ত্বকে ভাঁজ পড়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
আরও পড়ুন-লোকসভায় লক্ষ্য ১ : ১, রাজ্যে রাজ্যে হবে প্রচার, তৈরি রণকৌশল
ভিটামিন-বি-৬ : নারীর পূর্ণাঙ্গ পুষ্টিতে ভিটামিন বি-৬ দারুণ কার্যকরী। শরীরে হরমোন উৎপাদন, বিষণ্ণতা প্রতিরোধ, হৃদরোগ ও স্মৃতিশক্তি কর্মক্ষম রাখা, চিনির মাত্রা সঠিক রাখতে, গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলার দুর্বলতা কাটাতে, রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন-বি-৭ : কোষের বৃদ্ধিতে ও ফ্যাটি অ্যাসিডের সংশ্লেষণ, চুল ও ত্বক স্বাস্থ্যময় রাখা, হাড়ের বৃদ্ধি ও অস্থিমজ্জা তৈরি করা, শরীরে কোলেস্টেরল ঠিক রাখা এবং ওভারঅল পুষ্টিসাধনে ভিটামিন বি-৭ গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন-বি-৯ : হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, বিষণ্ণতা, ক্যানসার এবং স্মৃতিশক্তি লোপ প্রতিরোধ করে, গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভিটামিন বি-৯ কার্যকর।
ভিটামিন-বি-১২ : বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখতে, কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে, প্রোটিন সংশ্লেষণ, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এবং রক্তস্বল্পতা রোধে কার্যকরী।
আরও পড়ুন-ধ্বংসের মুখোমুখি আমাদের সংবিধান
ফোলেট : এটি হজম, রক্তের স্বাস্থ্য, খাবার ইচ্ছা, চোখের স্বাস্থ্য ও হার্টের সমস্যার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকী, রক্ত গঠনেও ফোলেট সাহায্য করে।
আয়রন : হরমোনের ভারসাম্য-সহ শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য আয়রন প্রয়োজন হয়। শরীরে অক্সিজেন পরিবহণেও সাহায্য করে থাকে।
ক্যালসিয়াম : ক্যালসিয়াম রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং হার্টের স্বাভাবিক ছন্দ এবং কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুস্থ হাড়, দাঁত এবং হরমোনের ভারসাম্যের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ভিটামিন-ডি : ভিটামিন-ডি আপনার শরীরে হরমোনের মতো কাজ করে। তার পাশাপাশি, এটি শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফেট নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন-ডি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল রোদ।