গত তিন বছর ধরে জেলা পরিষদে জিতে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেস দলের হয়ে। পেশায় শিক্ষক রঞ্জন ধাড়া পাশাপাশি রাজনীতিরও পরিচিত মুখ। এবারই জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসনে। একেবারে তৃণমূল স্তরে রাজনীতি করেন, জনসংযোগ খুব ভাল। তাঁর কাছে কোনও সমস্যা নিয়ে গিয়ে কেউ নিরাশ হয় না। এহেন মানুষটি সর্বদা হাসিখুশি থাকেন ও দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছের মানুষ হিসেবেই তাঁর পরিচিতি।
আরও পড়ুন-রাস্তা মেরামতির জন্য বিধাননগরকে ৮০ কোটি
তিন বছর ধরে জেলা পরিষদ আসনে জিতে আসছেন, এবার সভাধিপতি, কেমন লাগছে?
উঃ জেলা পরিষদের সভাধিপতি একটা বড় পদ। খুব ভালই লাগছে। হুগলি জেলার মানুষের জন্য কাজের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।
হুগলি জেলা পরিষদ উন্নয়নের নিরিখে সব সময় এগিয়ে। কীভাবে নেবেন চ্যালেঞ্জটা?
উঃ এটা সত্যি যে হুগলি জেলা পরিষদ উন্নয়নের নিরিখে সব সময় মানুষের জন্য প্রচুর কাজ করেছে। গত তিন বছর জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে গেছি। এবার সভাধিপতি। অবশ্যই সেটা একটা চ্যালেঞ্জ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি। চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করবে উন্নয়ন করার। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্র টাকা আটকে রাখলেও ইচ্ছা থাকলে কীভাবে কাজ করা যায়। আমরা সেভাবেই মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন-এশিয়াডে প্রজ্ঞাদের নিয়ে আশায় আনন্দ
শিক্ষকতার সঙ্গে এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্ব, একসঙ্গে কীভাবে সামলাবেন?
উঃ এতদিন তো শিক্ষকতার পাশাপাশি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলাম। একসঙ্গেই দুটো কাজ সামলেছি। আগামিদিনেও সেই ভাবে দুটো কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারব।
জেলা পরিষদে অনেক অভিজ্ঞ সদস্য রয়েছেন, প্রাক্তন সভাধিপতিও রয়েছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা কীভাবে কাজে লাগাবেন?
উঃ এটা একটা পজিটিভ দিক যে আমার জেলা পরিষদে অনেক অভিজ্ঞ সদস্য রয়েছেন। সর্বোপরি প্রাক্তন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রয়েছেন। একসঙ্গে খুব ভালভাবে করা যাবে।
আরও পড়ুন-পাক ম্যাচের হতাশা এখনও কাটছে না শুভমনের
প্রথম জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসাবে কোন কাজকে অগ্রাধিকার দেবেন?
উঃ জেলা পরিষদ মানুষের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছে। গ্রামে গ্রামে পাকা রাস্তা, আলো, জল নিকাশি থেকে সর্বত্র ব্যাপক কাজ হয়েছে। যেটুকু বাকি আছে সেগুলো এবার সম্পন্ন করব। জেলায় মানুষের একটু পানীয় জলের সমস্যা আছে। সেটা সবার আগে করে দেওয়া হবে। এছাড়া যেসব জায়গায় যে কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি সেগুলো করা হবে।
হুগলি জেলায় যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে তারপরেও বিরোধীরা, বিশেষ করে বিজেপি কুৎসা করে, কীভাবে সামলাবেন?
উঃ রাজ্যে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে আর হচ্ছে তাতে শুধু হুগলি জেলার মানুষ নয়, বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে যে বিজেপি সহ বিরোধীদের আর কোনও কাজ নেই, কুৎসা করা ছাড়া। ওদের কাজ কুৎসা করা, করবে। আমাদের কাজ উন্নয়ন করা, আমরা সেই কাজ করে যাব। হুগলি জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে বিরোধীদের কুৎসায় তারা বিশ্বাস করে না। উন্নয়নকে বিশ্বাস করে।
আরও পড়ুন-দেশের নাম বদল! মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
হুগলি জেলায় এতজন জয়ী বিধায়ক, সাংসদ ও মন্ত্রী জেলা সভাপতি রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করবেন?
উঃ আমার সত্যি সৌভাগ্য যে এতজন বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী, জেলা সভাপতি রয়েছেন আমাকে সব সময় পরামর্শ দেওয়ার জন্য। দলের নির্দেশমতো সকলের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করতে পারব।
প্রথমবার সভাধিপতি। শুভেচ্ছা জানাতে এসে সবাই কী বলছেন আপনাকে?
উঃ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করি। হুগলি জেলার সকলের সঙ্গেই পরিচিত। তাই সভাধিপতি হওয়ার পরে আমার উপর মানুষের অনেক আস্থা বেড়ে গিয়েছে। সকলে আসছেন শুভেচ্ছা জানাতে। এটা আরও ভালভাবে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
আরও পড়ুন-দেশের নাম বদল! মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
জেতার পরে ভেবেছিলেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি হবেন?
উঃ এতদিন ধরে রাজনীতি করছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে শিখেছি। কখনও কিছু পাওয়ার আশায় রাজনীতি করিনি। গত তিনবার জেলা পরিষদে জিতছি তখনও পদের আশা না করেই কাজ করে গিয়েছি। নেত্রী এবং দল আমার উপর যে ভরসা করেছে, তাঁদের নিরাশ করব না।
জেলা পরিষদ সভাধিপতি হিসাবে জেলার মানুষকে কী বার্তা দেবেন?
উঃ সবার আগে জেলার সমস্ত মানুষকে বলব প্রত্যেকদিন সকল সংবাদপত্র যেভাবে দেখেন, সেভাবে জাগোবাংলা দেখুন, তাহলে রাজ্যের আর তৃণমূল দলের উন্নয়নের কথা ভালভাবে জানতে পারবেন। জেলায় আগে যেভাবে জেলা পরিষদ মানুষের জন্য কাজ করেছে, আগামিদিনেও সেভাবে কাজ চলবে।