একান্ত সাক্ষাৎকারে খোলামেলা উত্তর দিলেন জাগোবাংলার প্রতিনিধি সুমন পণ্ডিত-কে।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা মুগ্ধ করেছিল তাঁকে। যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। একজন সাধারণ কর্মী হিসেবেই পথ চলা শুরু করেন। সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সমানতালে বজায় রেখেছেন সাহিত্যচর্চা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হওয়ার তাই চিন্ময়ী মারান্ডির লক্ষ্য জেলায় কোনও সাহিত্যচর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন-শাকিবদের হেলায় হারালেন বাবররা
রাজনীতিতে প্রবেশ কীভাবে?
উঃ ১৯৯৮ সালে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাঁতরাগাছিতে ভাষণ রাখছিলেন। বক্তৃতা শুনে রাজনীতিতে এসেছি। তখন আমার বাচ্চা খুব ছোট ছিল। জোরকদমে কাজ করতে পারিনি। একজন সাধারণ কর্মী হিসেবেই পথ চলা শুরু করেছিলাম। সক্রিয় রাজনীতিতে এলাম ২০১৮ সালে। এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হই। জয়ীও হই মানুষের আশীর্বাদে। এরপর থেকেই মানুষের পাশে রয়েছি।
আরও পড়ুন-ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে সুপারি কিলারের বিজ্ঞাপন, গ্রেফতার
জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকায় আপনার নাম ঘোষণা পর কী অনুভূতি হয়েছিল?
উঃ জেলাপরিষদের প্রার্থী তালিকায় নাম দেখে খুবই খুশি হয়েছিলাম। দিদির হয়ে মানুষের কাজ করতে পারবো। কীভাবে মানুষের হয়ে কাজ করব সেই চিন্তা তখনই ভেবে রাখি।
৮টি ব্লকের জন্য আলাদা আলাদা কী পরিকল্পনা করেছন?
উঃ ৮টি ব্লকের যে যে সমস্যা আছে সেগুলি লিখিত পেলে বা যেগুলি নজরে আসবে সেগুলি নিয়ে কাজ করব।
আরও পড়ুন-ঘরে-বাইরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধিক্কার বিজেপিকে
কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে জঙ্গল মহল জুড়ে। তাঁদের সমস্যা সমাধানের কী চিন্তা-ভাবনা আছে আপনার?
উঃ কুড়মি জাতি নিয়ে যে সমস্যাগুলি আছে সেগুলি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেখছেন আর সেগুলির সমাধানও খুবই তাড়াতাড়ি হবে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দেবেন সেই ভাবেই কাজ করব।
রাজ্যের সহযোগিতায় মাওবাদী সংগঠনের অনেকেই ফিরেছেন মূলস্রোতে। আপনার কী চিন্তা-ভাবনা?
উঃ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় সকলের কথা ভাবেন। সুস্থসমাজ গড়ার পরিকল্পনা করেন। আমাদের নেত্রী যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিযয়টি দেখেছেন। এবং বেশিরভাগ মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা চাকরি পেয়ে গেছেন। যারা পায়নি তাদরে জন্য অবশ্যই আমাদের নেত্রী ভাববেন।
আরও পড়ুন-প্যাকেটে ১টা বিস্কুট কম, তাই ১ লক্ষ টাকা জরিমানা
অবৈধ বালি খাদানের দৌরাত্ম্যে অনেকের প্রাণ যাচ্ছে সুবর্ণরেখা ও কংসাবতী নদীতে ডুবে গিয়ে। এটা নিয়ে কী ভাবছেন?
উঃ অনেকের প্রাণহানী ঘটছে এটা দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে নিয়ে কোথায় কোথায় অবৈধ বালিখাদান আছে সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জেলায় অধিকাংশ সরকারী জমি দখল করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে মুনাফা কামাচ্ছে তাদের আটকাতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন?
উঃ কোথায় কোথায় এরকম ঘটছে সেটা খোঁজ নেওয়া হবে। যাতে জমি দখল না হয় সেদিকে নজর রাখব।
ঝাড়গ্রাম জেলা তথা জঙ্গল মহলের মূল সমস্যা হাতি। হাতির আক্রমণে প্রায় প্রতিদিন প্রাণহানি, ফসল নষ্ট ও ঘর বাড়ি নষ্টের ঘটনা ঘটছে। হাতির সমস্যা সমাধানের কী পরিকল্পনা করছেন?
উঃ এই বিষয়টি নিয়ে আমি আগেই চিন্তা করেছিলাম। হাতি কোথায় আছে সেটা জানার জন্য জিপিএস বা ড্রোন ব্যাবহার করা যেতে পারে। তাহলে হাতির হানায় মৃত্যু কমবে। আমার এই চিন্তা জেলা প্রশাসন কে জানাবো দেখা যাক কতটা কি করা যায়।
আরও পড়ুন-৯ বিষয়ে আলোচনার দাবি সোনিয়ার
ঝাড়গ্রাম জেলায় পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। পর্যটকরা যাতে ঝাড়গ্রামমুখী হয় তার কী পরিকল্পনা আপনি চিন্তা ভাবনা করছেন?
উঃ অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রামের সৌন্দর্য দিদি বুঝতে পেরে ঝাড়গ্রাম জেলাকে ঢেলে সাজিয়েছেন পর্যটকদের জন্য তবে কিছু কিছু সময় অভিযোগ ওঠে শৌচাগার বা পরিষ্কার হয় না। তাই পর্যটন স্থল গুলিতে শৌচাগারের ব্যবস্থা ও পরিষ্কারের দিকে নজর দেব।
আরও পড়ুন-শহরের কলেজ-পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার
ঝাড়গ্রামে কোনও সাহিত্যচর্চার জায়গা নেই। কী ভাবছেন এটা নিয়ে?
উঃ আমি একজন সাহিত্যিক। আমি দেখেছি সাহিত্যচর্চার স্থান নেই বলে সাহিত্যিদের খুবই সমস্যা হয় তাই আমি চেষ্টা করব একটি সাহিত্যচর্চার কেন্দ্রর ব্যবস্থা করতে পারি। পাশাপাশি ওখানে একটি লাইব্রেরির ও ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।