প্রতিবেদন : রাজ্যের বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর। এবার রাজ্যের যেকোনও সরকারি গ্রন্থাগারের সদস্য হলে সাড়া রাজ্যে মিলবে বই পড়ার সুযোগ। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সরকারি গ্রন্থাগারের পাঠকদের জন্য ‘গ্লোবাল’ সদস্যপদ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ওই সচিত্র পরিচয়পত্র মাধ্যমে রাজ্য জুড়ে যে কোনও পাঠাগারে সবরকম সুবিধা মিলবে। রাজ্যের গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন, গ্রন্থাগারের চার ধরনের সদস্যপদ চালু করা হচ্ছে। শিশু থেকে ১৮ বছর। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে ৬০ বছর। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ শ্রেণি। এর পাশাপাশি নেওয়া হবে গ্লোবাল সদস্য। যারা রাজ্যের যে কোনও গ্রন্থাগারে সদ্স্য হিসাবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এই বিভাগে পাঁচ লক্ষ নতুন সদস্য পদের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সাংসদ, বিধায়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক, লেখক, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের গ্রন্থাগারের ‘গ্লোবাল মেম্বারশিপ কার্ড’ (Global Membership) দেওয়া হবে। ওই কার্ড (Global Membership) ব্যবহার করে রাজ্যে যে কোনও জায়গায় সরকারি গ্রন্থাগার থেকে বই নিতে পারবেন তাঁরা। তাদের সকলের জন্য সুদৃশ্য পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-লোকসভার আগে বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে ইন্ডিয়া
জনশিক্ষার প্রসারে সাধারণের মধ্যে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে রাজ্য সরকার চলতি অর্থবছরে দশটি ডিজিটাল গ্রন্থাগার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যেই অনেক দুর্মূল্য বই ডিজিটালি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুষ্প্রাপ্য ৩৫ হাজার বইয়ের ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার পরিচালিত গ্রন্থাগারগুলিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সদস্যপদ গ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। চলতি অর্থবছরে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি গ্রন্থাগারকে এক কোটি ৮১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রন্থাগারে বই কেনার জন্য ৩ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের ৭৩৮টি গ্রন্থাগারিকের শূন্যপদে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। মোট ৯,২৩৯ জন ওই পদে আবেদন করেছেন। তিনি আরও বলেন, বেসরকারি স্তরেও এ বিষয়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত রাজ্য গ্রন্থাগার দফতর।