প্রতিবেদন : কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে ওঠার লক্ষ্যে রবিবার ক্লাব মাঠে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডে জায়গা করে নিতে এদিন পিয়ারলেস ম্যাচ জিততেই হত মোহনবাগানকে। সেই লক্ষ্যে সফল তারা। তবে এদিন খুব খারাপ ফুটবল খেলে সবুজ-মেরুনের জুনিয়র ব্রিগেড। রোহেন সিংয়ের করা একমাত্র গোলে ভাঙাচোরা পিয়ারলেসকে হারায় সবুজ-মেরুন। কিন্তু এই গোল আর জয় ছাড়া ম্যাচ থেকে প্রাপ্তি কিছু নেই মোহনবাগানের। তবে এই জয়ের ফলে সুপার সিক্সে ওঠার লড়াইয়ে স্বস্তিতে থাকল সবুজ-মেরুন।
আরও পড়ুন-দাদু-ঠাম্মার ইতিকথা
১০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট তাদের। বাকি দুই ম্যাচে মহামেডান ও ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে ন্যূনতম এক পয়েন্ট পেলেই সুপার সিক্সে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে মোহনবাগান। এদিন খেলা শেষে ভরা গ্যালারির সামনে ডুরান্ড কাপ ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেশন করেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন-রানিনগর থানা ও তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর, গ্রেফতার ৩৬
প্রতিপক্ষকে এদিন কমজোরি অবস্থায় পেয়েছিল মোহনবাগান। একাধিক ফুটবলার রিলিজ নেওয়ায় জেলার কোচিং ক্যাম্পের ছেলেদের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে এদিন মাঠে নামায় পিয়ারলেস। তবু হেমন্ত ডোরার প্রশিক্ষণাধীন অফিস দলটি লড়াকু ফুটবল খেলেছে। মোহনবাগানকে তাদের বিরুদ্ধে জিততেও বেগ পেতে হয়েছে। ২২ মিনিটে রোহেন সিং হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। বিরতির আগেই ব্যবধান বাড়াতে পারত সবুজ-মেরুন। কিন্তু কিয়ান নাসিরি, রবি রানা, ফারদিন আলি মোল্লারা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
আরও পড়ুন-ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে সুনকের বার্তা খালিস্তানিদের
পিয়ারলেসের গোলকিপার সঞ্জয় ভট্টাচার্য মোহনবাগানকে গোলের ব্যবধান বাড়াতে দেননি। কিয়ানদের যাবতীয় আক্রমণ সামাল দিয়ে বারবার পিয়ারলেসের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ান সঞ্জয়। তিনিই হন ম্যাচের সেরা। শেষ লগ্নে পিয়ারলেস গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে। মোহনবাগানের আমনদীপ কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন। মোহনবাগান কোচ বাস্তব স্বীকার করে নেন, লিগে সব থেকে খারাপ ম্যাচটা খেলল দল। তবে সুপার সিক্সে ওঠার লড়াইয়ে তিন পয়েন্ট পেয়ে খুশি। গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট নিয়েই যেহেতু সুপার সিক্সে যাচ্ছে দলগুলি, তাই যত বেশি সম্ভব পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের (৩০ পয়েন্ট) কাছাকাছি থাকতে চান মোহনবাগান কোচ।