প্রতিবেদন : মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল একই গ্রুপে না থাকায় এবারের কলকাতা লিগে এখনও মেগা ডার্বি দেখা যায়নি। সুপার সিক্সে দেখা যাবে কলকাতা ডার্বি। তার আগে বৃহস্পতিবার ছিল মিনি ডার্বি। কল্যাণী স্টেডিয়ামে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট ও মহামেডান স্পোর্টিং। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে অমীমাংসিত থাকল। কিয়ান নাসিরি, টাইসন সিংয়ের বিশ্বমানের গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে গোলে হজম করে জয় হাতছাড়া করল মোহনবাগানের জুনিয়র ব্রিগেড। অন্যদিকে, শেখ ফৈয়াজের গোলে হার বাঁচাল মহামেডান। ড্র করে লিগে সুপার সিক্সে খেলা কার্যত নিশ্চিত করল সবুজ-মেরুন। ম্যাচ শেষে মোহনবাগানের অভিযোগ, মহামেডানের ফৈয়াজের গোলটি স্টপেজ টাইমের পর হয়েছে। রেফারি বাড়তি সময় খেলিয়েছেন।
আরও পড়ুন-ভয় পেয়েই অভিষেককে হেনস্থা, প্রতিবাদে সোচ্চার সাধারণ মানুষ
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে এবার অন্যতম ধারাবাহিক দল মহামেডান। অন্যদিকে, লিগে মোহনবাগানের শুরুটা ভাল হলেও ক্রমশ তাদের পারফরম্যান্স গ্রাফ নেমেছে। কারণ, সবুজ-মেরুনের দুর্বল রক্ষণ। এদিন কল্যাণীর মাঠে ২০ মিনিটেই এগিয়ে যায় মহামেডান। মোহনবাগান গোলরক্ষক সঈদ জাহিদের শিশুসুলভ ভুলে গোল করে যান রেমসাঙ্গা।
আরও পড়ুন-দুয়ারে ডাক্তার, কৃতজ্ঞ জঙ্গলমহলের মানুষ
২৭ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কিয়ান নাসিরি। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারেননি তিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সেই কিয়ানের দুর্দান্ত একটি গোলে ম্যাচে ফেরে মোহনবাগান। বক্সের ডান দিকে উঁচু বল বুকে নামান কিয়ান। এরপর বিপক্ষ গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে ফ্লিক করে বল জালে জড়িয়ে দেন জামশিদ নাসিরির-পুত্র। মোহনবাগান আক্রমণে ঝাঁঝ আরও বাড়ায়। খারাপ খেলা গোলরক্ষক জাহিদকে তুলে মোহনবাগান কোচ পরিবর্ত হিসেবে নামান দেবনাথ মণ্ডলকে। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকবার দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন তিনি। ৮০ মিনিটের মাথায় বিশ্বমানের গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন টাইসন সিং। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ-পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে অনবদ্য গোল করেন এই তরুণ। ম্যাচের বাকি সময় মহামেডান গোলশোধের মরিয়া চেষ্টা করেও সফল হচ্ছিল না। কিন্তু সংযুক্ত সময়ের ৯৭ মিনিটে হেডে দুর্দান্ত গোল করে মহামেডানকে সমতায় ফেরান পরিবর্ত শেখ ফৈয়াজ।
আরও পড়ুন-সরকারি কাজের ক্ষেত্রে জন্ম শংসাপত্রই একমাত্রই নথি, অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে নিয়ম
এই ম্যাচের পর ১২ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে মহামেডান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডায়মন্ড হারবারের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ২৬। ১১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে মোহনবাগান। কালীঘাট এমএসের পয়েন্ট ২৪ হলেও গোল পার্থক্যে অনেক এগিয়ে থাকায় সুপার সিক্সের পথে মোহনবাগান। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ মোহনবাগানের। শেষ ম্যাচ জিতলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে সুপার সিক্সে যাবে সবুজ-মেরুন। কোচ বাস্তব রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘কিয়ানকে বক্সে ফাউল করা সত্ত্বেও পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। মহামেডানের সমতা ফেরানোর গোলটা হয়েছে ৬ মিনিটের ইনজুরি টাইম শেষ হওয়ার পর। রেফারির সিদ্ধান্ত বারবার আমাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। হ্যাঁ, আমাকে যে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে। আমার ভুল মেনে নিচ্ছি।’’