প্রতিবেদন : বিশেষ অধিবেশনে সোমবার নিজের বক্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) সংসদীয় রাজনীতিতে বাংলার নেতাদের অবদান তুলে ধরেন। বলেন, সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. বি আর আম্বেদকর বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। সংবিধান তৈরির সময় আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বাংলার বহু নেতা। ফলে সংসদীয় ক্ষেত্রে বাংলার একটি সম্মানজনক স্থান রয়েছে। তিনি (Sudip Banerjee) উল্লেখ করেন শরৎচন্দ্র বসু, কিরণশঙ্কর রায়, সত্যরঞ্জন বক্সি, ড. প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নাম। এছাড়া ২০ জনের নামের তালিকা রয়েছে, যাঁরা ভারতীয় সংবিধান প্রকাশিত হওয়ার আগে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। সুদীপের কথায়, আমাদের অগ্রগতি, জাগরণ শুরু হয়েছিল রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ এবং স্বামী দয়ানন্দের নেতৃত্বে হওয়া আধ্যাত্মিক নবজাগরণের মধ্য দিয়ে। সেই আধ্যাত্মিক নবজাগরণের মাধ্যমে রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক নবজাগরণ শুরু হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন লোকমান্য তিলক, ঋষি অরবিন্দ, মহাত্মা গান্ধী এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। লোকসভার সাংসদ সুদীপ বলেন, ভারতীয় সংসদ পরিচিত সব দলের সাংসদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সৌভ্রাতৃত্বের জন্য। সেই পরিবেশই এখন আর নেই। তাঁর অভিযোগ, একটি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দম্ভ যেভাবে প্রকাশ হচ্ছে, তা কাম্য নয়। বক্তব্যের শেষে সুদীপ অভিযোগ করেন, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত আসছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী বাংলা। একইসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ জানান, ভারত এবং ইন্ডিয়ার মধ্যে কোনও বিভাজন করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন- সরকারি হিসেবের খাতায় বিরাট গরমিল, ক্যাগের রিপোর্টে ফাঁস হল মোদি সরকারের কারচুপি