প্রতিবেদন : ইজরায়েল-হামাস (Israel-Palestine War) সংঘর্ষের মধ্যেই প্রকাশ্যে এল হাড়হিম করা ভিডিও। দেখা গিয়েছে, পিকআপ ভ্যানের পিছনে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ইজরায়েলের রাস্তায় মহিলার নগ্ন মৃতদেহ নিয়ে প্যারেড করছে হামাস জঙ্গিরা। আর এমন ভয়ানক দৃশ্য সামনে আসতেই শিউরে উঠেছে তামাম বিশ্ব। জঙ্গি সংগঠন হামাস প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল মৃতদেহটি একজন মহিলা ইজরায়েলি সেনার। কিন্তু এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিডিওতে যে মহিলাকে দেখা গিয়েছে তিনি একজন জার্মান নাগরিক এবং একজন ট্যাটু শিল্পী। তাঁর পরিবারের তরফেও ওই মহিলার মৃতদেহ নিশ্চিত করা হয়েছে। মেয়ের দেহ ফিরে পেতে মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন শোকার্ত মা। মহিলার ভাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, শনিবার সকালে তাঁর দিদিকে অপহরণ করে হামাস জঙ্গিরা।
অন্যদিকে, আরেকটি ঘটনায় মা-বাবার সামনেই ১৮ বছরের তরুণীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। শেষ মুহূর্তে জঙ্গিগোষ্ঠীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে প্রাণভিক্ষা চেয়েও লাভ হয়নি। উল্টে তরুণীকে মেরে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে ওঠে জঙ্গিরা। শনিবার গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলের উপর সাত হাজার রকেট হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের এই জঙ্গি গোষ্ঠী। পাশাপাশি, সেদেশের দক্ষিণ দিকের একাধিক শহরে ঢুকে পড়ে হামাসের যোদ্ধারা। এলাকায় শুরু হয় তাণ্ডব। বাড়িতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বহু ইজরায়েলি নাগরিককে হত্যা করে তারা। হামাস জঙ্গিদের এমন গণহত্যার ভিডিয়ো ও ছবি ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তেমনই একটি ভিডিওতে এক ইজরায়েলি পরিবারকে হামাস জঙ্গিদের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- করমণ্ডল দুর্ঘটনায় দাবিহীন ২৮ দেহ, গণদাহ হওয়ার সম্ভাবনা
ইজরায়েল (Israel-Palestine War) প্রশাসন সূত্রে খবর, দেশের দক্ষিণ দিকের একাধিক শহরের বহু বাসিন্দাকে পণবন্দি করেছে হামাস জঙ্গিরা। তাঁদের মুক্ত করতে কমান্ডো অপারেশন শুরু করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার। পাশপাশি, গাজা স্ট্রিপে হামাসের গোপন ঠিকানা লক্ষ্য করে এয়ার স্ট্রাইক চালাচ্ছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৫০ পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধঘোষণা করেছেন। ভারত-সহ বিশ্বের বহু দেশ জঙ্গিহানার তীব্র নিন্দা করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে ভুগছেন ইজরায়েলে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা। দ্রুত দেশে ফেরার খোঁজখবর নিতে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখছেন। ইজরায়েলে আটকে থাকা এক ভারতীয় পড়ুয়া সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমি অত্যন্ত ভীত। এরপর কী হবে জানি না। সৌভাগ্যবশত আমরা শেল্টারে রয়েছি। ইজরায়েলের পুলিশও কাছাকাছিই রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত নিরাপদেই রয়েছি। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। এখানে আমাদের ভারতীয় যাঁরা আছেন পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।