সংবাদদাতা, কোচবিহার : দার্জিলিঙের পর এবার কোচবিহারেও চালু হচ্ছে ‘জয় রাইড’। তবে টয়ট্রেন নয় দোতলা বাসে। পর্যটকদের জন্য দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত টয় ট্রেনে ‘জয় রাইড’-এর ব্যবস্থা রয়েছে। ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে দোতলা বাসকে এবার পুজোর মুখে ‘জয় রাইড’ হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা৷ ২০০০ সালের পরে আর পথে নামেনি দোতলা বাস৷ এই দোতলা বাসের সঙ্গে আজও পর্যটকদের আবেগ জড়িয়ে আছে৷
আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে পঞ্চম মা ক্যান্টিন
তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারা দোতলা বাসকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে নীলসাদা রঙ করা হয়েছিল৷ বাসের গায়ে লাগানো হয়েছে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি ও রাজ-আমলের কোচবিহারের স্থাপত্যের ছবি৷ দোতলা বাসের কিলোমিটার-প্রতি যাতায়াতের খরচ অন্য বাসের তুলনায় বেশি। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা জানিয়েছে অত্যধিক তেল খরচ করে সংস্থার পক্ষে এই বাস নিয়মিত ভাবে পথে নামালে লোকসানের মুখে পড়তে হবে সংস্থাকে৷ এ-ছাড়াও জানা গেছে এই দোতলা বাসের যন্ত্রাংশ অমিল। নির্দিষ্ট সংস্থাকে দিয়ে এই বাসটি সারাই করতে হয়৷
আরও পড়ুন-৩০০ বছরের অভয়া দুর্গার নতুন মূর্তি গড়ে পুজো, কর্মকার বাড়ির পুজো
এছাড়াও তুলনামূলক ভাবে, এই বাসের গতিও খুব কম। অন্য বাসের তুলনায় গতি কম হওয়ায় সাধারণ নিত্যযাত্রীরাও আগ্রহ হারিয়েছেন দোতলা বাসের প্রতি। তাই সবুজের পথে হাতছানি প্রকল্পের চাহিদা বাড়াতে আগে দোতলা বাসকে কাজে লাগিয়েছে এই রাজ্য সরকার। তবে এবার জয় রাইড হিসেবে শুধু কোচবিহারের রুটেই চলাচল করবে এই দোতলাবাস৷ পার্থপ্রতিম রায় জানান, কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নীল বাসটি— যা দেখতে অনেকটা দ্বিতল বাড়ির মতো৷ দ্বিতলে বসে যাতায়াতের আলাদা অনুভূতি পাবেন যাত্রীরা৷