প্রতিবেদন : পুজোর আগে শেষ রবিবার বন্ধুর ভূমিকায় আবহাওয়া। সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ। বর্ষা বিদায়ের সঙ্গে বৃষ্টি উধাও স্বাভাবিক নিয়মেই। তাই সকাল থেকেই মহানগরীর রাজপথে জনতার ঢল। ঠাকুর দেখতে নয়, ঠাকুর দেখার জন্য সাজগোজের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে। রবিবার পুজোর কেনাকাটার ভিড়ে ফুটে উঠল প্রাণোচ্ছল মহানগরীর ছবি। পাছে হঠাৎ বৃষ্টি মাটি করে দেয় শপিং-এর আনন্দটাকে, তাই কেউ এক মুহূর্তও নষ্ট করতে রাজি নন।
আরও পড়ুন-কাশিমবাজার রাজবাড়ির পুজোয় এখনও জাঁকজমক
কারও পছন্দ হালফ্যাশন, আবার কারও আকর্ষণ সাবেক পোশাকেই। তাই নানা রুচির অলিখিত প্রতিযোগিতা শপিং মলগুলোতে। পছন্দ-অপছন্দের দোলাচল গড়িয়াহাট, নিউমার্কেট-ধর্মতলা, কলেজ স্ট্রিট, হাতিবাগান, শ্যামবাজার— কোথাও পা রাখার যেন জায়গাই পাওয়া যাচ্ছিল না রবিবার। বড়বাজারের পাইকারি জামাকাপড়, শাড়ির দোকানগুলোতেও এদিন অবারিত দ্বার ছিল খুচরো ক্রেতাদের জন্য। তাঁতের শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, জিন্স কালচার এবং চোস্ত-পাঞ্জাবির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। তবুও দরাদরির মধ্যে এক আলাদা আনন্দের স্বাদ। গঙ্গার পশ্চিমপাড়েও পুজোর বাজার ছিল তুঙ্গে। শিবপুর থেকে সালকিয়া, হাওড়া শহরের সব পথ যেন এদিন মিশে গিয়েছিল মল্লিক ফটক-হাওড়া ময়দানের মার্কেটগুলোতে।
আরও পড়ুন-পুলিশ হওয়ার স্বপ্নে থানায় কাজ শিখতে হাজির কন্যাশ্রীর দল
ভিড় উপচে পড়ছিল জুতো এবং প্রসাধনীর দোকানগুলোতেও। স্বাভাবিকভাবেই ব্যস্ততম জিটি রোডে ছুটির দিনেও গতি হারিয়েছে যানবাহন। প্রায় একই ছবি বারাসতের বস্ত্রবিপণিগুলোতে। পুজোর কেনাকাটা হবে আর রসনাতৃপ্তি হবে না, তা কখনও হয়? তাই হোটেল-রেস্তোরাঁ, স্ন্যাক্সবারগুলোও এদিন ব্যবসা করেছে চুটিয়ে। বোঝাই যাচ্ছে কোভিড-আতঙ্কে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দাপটের সঙ্গে।