রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে জোয়ার এসেছে পর্যটন শিল্পে। তাঁর উদ্যোগে রাজ্যে তৈরি হয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প গজলডোবার ভোরের আলো। যা পুজোর মরসুমে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৯ অক্টোবর থেকে ভোরের আলোর ৯০%বুকিং হয়েছে।
আরও পড়ুন-উপাচার্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি অধ্যাপকদের
প্রকল্পের ২২টি ইকো কটেজের মধ্যে পুজোর দিনগুলিতে ৮০-৯০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। এরমধ্যে ৫টি ডুপ্লেক্স ইকো কটেজ। বাকি ডিলাক্স ইকো কটেজ। এরমধ্যে একটি ডুপ্লেক্স কটেজ সংরক্ষিত রাখা হয়। প্রকল্পের আধিকারিক জানান, পুজোর পর্যটন মরশুমের ৮০% বুকিং সেপ্টেম্বর মাসেই সম্পন্ন হয়ে যায়। সম্প্রতি পুজোর দিনগুলির পাশাপাশি একেবারে ১৯ অক্টোবর থেকে দশমী পেরিয়েও বুকিং রয়েছে। এছাড়া উৎসবের মরশুম ধরে দীপাবলি পর্যন্ত কমবেশি পর্যটক সমাগম আছে। সিকিম বিপর্যয়ে পর থেকেই ভ্রমণপিপাসুদের বড় অংশই পুজোর ট্যুর ম্যাপের রুটবদল করেন। নাথু লা পাহাড় ভুলে পর্যটকেরা বেছে নিচ্ছেন দার্জিলিং-সহ ডুয়ার্সে ও তরাইয়ের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনগুলিকে।
আরও পড়ুন-চিকিৎসককে পুনর্বহালে বাধ্য হল বিশ্বভারতী
তার মধ্যে নিঃসন্দেহে চঞ্চলা তিস্তা আর তার পাড়ে বসে আঁচল জুড়ে থাকা সবুজ বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল ও চোখের সম্মুখপ্রান্তে কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখরচূড়ার দর্শন ভোরের আলো মোহময়ী সম্মোহনে পর্যটকদের টানে। ফলে তিস্তা শান্ত হতেই পুজোর ছুটিতে ব্যাগপ্যাকপর্ব সেরে পর্যটকদের ঢল নামছে পর্যটন মানচিত্রে উল্লেখ্যযোগ্য জায়গায় করে নেওয়া ভোরের আলোয়। রাজ্য পর্যটন দফতরের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর জ্যোতি ঘোষ বলেন, সিকিম বিপর্যয়ের পরমুহূর্ত থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের সুস্থভাবে নামিয়ে আনতে আমরা সিকিম সরকার এবং সেনা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি।
আরও পড়ুন-করিমপুরের সীমান্তগ্রামে দুই বাংলার আবেগের দেবী নস্করি
শুধুমাত্র বিধ্বস্ত উত্তর সিকিম নয় গ্যাংটক-সহ একাধিক এলাকায় যে সমস্ত রাজ্যের পর্যটক ছিলেন তাঁরাও আতঙ্কগ্রস্ত। ফলে সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের শিলিগুড়িতে নামিয়ে এনে সেখান থেকে ট্রেন অথবা বাসে টিকিট থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যবস্থা পর্যটন দফতরের তরফে করা হয়।