প্রতিবেদন : উৎসব মিটলে মানুষের অধিকারের লড়াই আরও তীব্রতর হবে। বৃহস্পতিবার ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর কথায়, উৎসবের সময় লড়াই-আন্দোলন হয় না। কিন্তু উৎসব শেষে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়বে। বাংলার বঞ্চিতদের হকের টাকা যতক্ষণ না তাঁদের কাছে পৌঁছচ্ছে, এ লড়াই চলবে। সেইসঙ্গে ফের ৬ মাসের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, আগামী ৩০ জুন, ২০২৪-এর মধ্যে বঞ্চিতদের হকের টাকা হয় দিল্লি থেকে ছিনিয়ে আনব, নয়তো রাজ্য সরকার সেই টাকা বঞ্চিতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেবে। বৃহস্পতিবার সাতগাছিয়ার বিদ্যানগর মাল্টিপারপাস স্কুলের মাঠে পুজো উপহার নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন পুজোর আবহে থাকলেও রাজনৈতিক কর্মসূচি না হলেও প্রতি পদক্ষেপে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মনে করিয়ে দিয়েছেন, যেভাবে বিজেপি এজেন্সি রাজনীতি করে তৃণমূলকে দমিয়ে রাখতে চাইছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে তৃণমূল কংগ্রেস৷ মাথা উঁচু করে লড়াই করবে৷ অভিষেকের কথায়, কোনও বহিরাগত নেতার কাছে মাথা নিচু করবে না বাংলা৷
যত ইডি, সিবিআই লাগাবে আন্দোলনের ভাষা ততই তীব্র হবে৷ সত্য মুখরিত হবে৷ তৃণমূল আরও শক্তিশালী হবে৷ উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, সামনে বড় লড়াই৷ নিজের অধিকারকে সামনে রেখে এ-লড়াই জিততে হবে৷ মনে রাখবেন, যে বিপদে আপনার পাশে ছিল, আপনারা তার পাশে থাকবেন৷ যারা শুধু ভোট পাখি হয়ে ভোট চাইতে আসে তাদের বাংলা থেকে বিদায় দিতে হবে৷ এদিন ডায়মন্ড হারবারের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে অভিষেক সিপিএমকে তুলোধোনা করে বলেন, এখানে ২৪ বছর বিধায়ক ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু৷ অথচ উন্নয়নের ছিটেফোঁটা হয়নি৷ এই লোকসভা ৪০ বছর সিপিএমের হাতে ছিল৷ কী করেছে তারা? একটাও কাজ করেনি৷ আগামিদিন ডায়মন্ড হারবারের প্রতিটি ব্লকে যাতে উন্নয়নের কাজে এতটুকু ফাঁক না থাকে সে-বিষয়েও কড়া নজর রাখবেন৷ এদিনও উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে অভিষেক বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে আমি যা কাজ করেছি তা পুস্তক আকারে প্রকাশ করেছি৷ যার নাম ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’৷ শুধু সাতগাছিয়াতেই ৬০০ কোটির টাকার রাস্তার কাজ হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সকলের হাতে পুজো উপহার তুলে দিয়ে অভিষেক বলেন, আগামী বছর থেকে মানুষের বাড়ি বাড়ি পুজো উপহার পৌঁছে যাবে৷ সাতগাছিয়ার পর এদিন বিষ্ণুপুরেও পুজো উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷