প্রতিবেদন : ফের দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন নাম না করে তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষকে সরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। পার্টিতে অনেকেরই আমাকে নিয়ে খুব কষ্ট ছিল। যাঁদের খুব কষ্ট হচ্ছিল, কাজ করতে পারছিলেন না, তাঁরা এখন কী করছেন। বদল হয়ে গিয়েছে তো, আবার বদলের কথা বলছেন কেন? পার্টি তো হারতে হারতে হারাধন হয়ে গিয়েছে। পিঠ ঠেকে গিয়েছে দেওয়ালে। এগিয়ে আসুন পুরনো কর্মীরা। জেতান পার্টিকে। দিলীপ ঘোষকে জঙ্গল কাটতে পাঠানো হয়েছিল, জঙ্গল কেটে সাফ করে দিয়েছে, এবার আপনারা বাড়ি-ঘর-রাস্তাঘাট বানানোর কাজ করুন। সবসময় পরিবর্তনের কথা বলবেন, তাহলে কাজ কখন করবেন!
আরও পড়ুন-মা তোর একই অঙ্গে এত রূপ দেখিনি
দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, দিলীপ ঘোষ নিজেই বলছেন বিজেপি এখন হারতে হারতে হারাধন হয়েছে। উনি তো ঠিকই বলেছেন। বিজেপি তো হারাধন। মানুষ বিজেপির পাশে নেই। তাই তৃণমূলকে হারাতে শুভেন্দু অধিকারীরা দিল্লিকে চাপ দিয়ে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের পিছনে ইডি-সিবিআইকে লাগিয়ে কুৎসামূলক কাজ করছে। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কুণালের সংযোজন, দিলীপ ঘোষ সঠিক কথা বলেছেন। একেবারে বাস্তব কথা বলেছেন। এই হারাধনের লোকেরা নিজেদের মুখ লুকোতে এজেন্সির অপব্যবহার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত করছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি একশো শতাংশ চক্রান্ত। এর মধ্যে ওই গদ্দার, বেইনান, বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দু অধিকারীর ষড়যন্ত্র। তৃণমূলে থেকে সপরিবারে সমস্ত সুবিধা নেওয়ার পর এরা বিজেপিতে গেছে। শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা সারদা-নারদা নিয়ে দেখা হোক। নিজের পিঠ বাঁচাতে গদ্দার এখন বিজেপির ছাতার তলায় অমিত শাহের জুতো পালিশ করে। তিনি দাবি জানান, অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হোক।