হাতে গুনে আড়াই মাস। যাদবপুরের (Jadavpur University) ব়্যাগিং (Ragging) এর ঘা এখনও দগদগে। মৃত্যু হয়েছিল প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার যার ফলে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক স্তরেও ভালোই জলঘোলা হয়েছিল। এরইমধ্যে এবার ফের ব়্যাগিং এর অভিযোগ শহর কলকাতায়। হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে ব়্যাগিং এর শিকার দ্বিতীয়বর্ষের এক পড়ুয়ার। তবে এবার সোহম সরকার নামে ওই পড়ুয়া আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সোহমের বাড়ি নেতাজিনগরের রামগড়ে। তিনি হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে CSE-এর দ্বিতীয়বর্ষের পড়ুয়া। মঙ্গলবার দুপুর ২টো পনেরো নাগাদ কলেজেরে গেটের কাছে মাসুম রাজা, আবির সেন ও তাঁদের কিছু সঙ্গী তাঁকে ঘিরে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন। এমনকি রাস্তায় ফেলে বুকে-পেটে লাথি মারা হয়। এর ফলে তাঁর ডান পায়ে ভালোই চোট লাগে, একটি দাঁত ভেঙে যায়। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন-আজ খেলতে পারেন উইলিয়ামসন, ক্লাসেনদের থামানোর অঙ্ক নিউজিল্যান্ডের
রক্তাক্ত অবস্থাতে সোহম বাড়ি ফেরেন। বাড়ির সদস্যদের জানান। তাঁকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এই ঘটনার ফলে আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার। গত ১০ ১১ তারিখ মাসুম রাজা, আবির সেন তাঁকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। ২ জনেই কলেজের বিবিএ বিভাগের ছাত্র। পুলিশি অভিযোগে সোহম লিখছেন, ‘ওইদিন গেটের সামনে আমাকে গালাগাল করা হয়। জুনিয়র স্টুডেন্ট হওয়ার জন্য আমাকে দেখে নেবে বলে। আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ারও হুমকি দেয়। ওই ঘটনার কথা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। এরা বারবার আমাকে প্রাণহানির হুমকি দিয়ে গিয়েছে। বলে গিয়েছে আমরা কারা জানিস না। অনুগ্রহ করে আমার জীবন বাঁচান।’