সংবাদদাতা, কোচবিহার : হাতির হামলায় (Elephant Attacks) মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনিবার মাথাভাঙায় শোকার্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে এমনটাই জানালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। এদিন দলের তরফে শোকার্ত পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বনদফতরের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে দশ দিনের মধ্যে এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার হবে। এ ছাড়াও দলীয় ভাবেও আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে৷ এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, তৃণমূল যুব কংগ্রেস জেলা সভাপতি কমলেশ অধিকারী-সহ জেলা নেতৃত্ব। বনদফতর জানিয়েছে, ৬টি হাতি জলদাপাড়া থেকে পাতলাখাওয়া বনাঞ্চল হয়ে বুধবার রাতে কোচবিহারের দিকে চলে এসেছিল। লাগাতার হামলা (Elephant Attacks) চালিয়ে শুক্রবার রাতে তাদের জলদাপাড়া জঙ্গলের দিকে ফেরত পাঠিয়েছেন বন কর্মীরা৷ তবে একটি হাতিকে রাতভর চেষ্টার পরেও ফেরত পাঠানো সম্ভব না হলে ঘোকসাডাঙা গ্রামে শনিবার জলদাপাড়া বনদপ্তরের উদ্ধারকারী দল ঘুমপাড়ানি গুলি করে হাতিটিকে জলদাপাড়া জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছে৷ জানা গেছে এই হাতির পালে ছিল একটি শাবকও। শাবকের ক্ষতি হতে পারে সেই আশঙ্কায় হাতির দল লোকালয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে অনুমান৷ তবে মাথাভাঙা শীতলকুচি এলাকায় রাতে আরও দুই গ্রামবাসী হাতির হামলায় আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দুজন মাথাভাঙা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ শুক্রবার সারাদিন কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা ২ নং ব্লকের পাড়াডুবি ও উনিশবিশা অঞ্চলে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে আসা দলছুট হাতির তাণ্ডব চলে। হাতির তাণ্ডবে বিচ্ছিন্নভাবে চারটি এলাকায় প্রাণ হারান বুদ্ধেশ্বর বর্মন (৬৫), আনন্দ প্রামাণিক (৬১), জয়ন্তী সরকার (৪৯), রেখারানি বর্মন (৬৮)।
আরও পড়ুন- বাতিল রেশন কার্ড নিয়ে আদিত্যনাথ প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতাকে বিঁধলেন কুণাল ঘোষ