প্রতিবেদন : নেপালের ভূমিকম্পে (Nepal earthquake) লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার রাতে কম্পনের উৎসস্থল পাহাড়ে ঘেরা এই ছোট্ট দেশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৭০। আহত শতাধিক। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে কম্পনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বিল্ডিং। নিখোঁজদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। নেপাল পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালালেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। কম্পনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও তা অনুভূত হয়। শুধু নেপালই নয়, শুক্রবার মধ্যরাতে দিল্লি-এনসিআর, অযোধ্যা, লখনউ এবং বিহারেরও বেশ কিছু জায়গার মাটি কেঁপে ওঠে। বাদ পড়েনি কলকাতাও। এদিকে নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
নেপালের স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে একাধিক জায়গার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, শুক্রবার রাত ১১টা ৩২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে আচমকাই কেঁপে ওঠে নেপাল (Nepal earthquake)। কম্পনের উৎসস্থল ছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে ৩৩১ কিলোমিটার দূরে। নেপালের বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে এখন আহতদের চিকিৎসা চলছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে নিরবচ্ছিন্ন উদ্ধার ও ত্রাণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, সড়ক অবরুদ্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর কারণে উদ্ধার ও ত্রাণকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ভূমিকম্পের জেরে পশ্চিম রুকুম এবং জাজারকোট সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর।