প্রতিবেদন : কানাডায় বসে নজিরবিহীন হুমকি খালিস্তানি নেতার। ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ নভেম্বর গুজরাতের আমেদাবাদে মোদি স্টেডিয়ামে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল। ওইদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান উড়িয়ে দেওয়া হবে। খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত পান্নুর (Gurpatwant Pannun) এই হুমকি বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই গোটা দেশে শোরগোল পড়েছে। পাশাপাশি আরও জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ভারতে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখ ফর জাস্টিস’ বারবারই দেশে নাশকতার ছক কষে। আর সেই সংগঠনের নেতা পান্নু সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন। সেখানে স্পষ্টভাবে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ভিডিও বার্তায় পান্নু (Gurpatwant Pannun) বলেছেন, ১৯ নভেম্বর শিখ সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উঠবেন না। তাহলে যেকোনও মুহূর্তে জীবনহানির ঘটনা ঘটতে পারে। ওই দিন ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। মোদি সরকারকে পান্নুনের হুঁশিয়ারি, ১৯ নভেম্বর ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর বন্ধ রাখুন। পাঞ্জাব স্বাধীন হলে দিল্লি বিমানবন্দরের নাম বদলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নামে রাখা হবে বলেও ঘোষণা করেছেন পান্নুন। ভিডিও বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন ওয়ার্ল্ড টেরর কাপ খেলা হবে। গোটা বিশ্বের কাছে এটা তুলে ধরা হবে, ভারতে নির্বিচারে শিখদের হত্যা করা হচ্ছে। আর এর পিছনে রয়েছে ভারত সরকার। খালিস্তানি জঙ্গি নেতার হুঁশিয়ারি, ১৯ নভেম্বর ‘বিশ্ব সন্ত্রাস কাপ’-এর ফাইনালের দিন। ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপ’কে ‘বিশ্ব সন্ত্রাস কাপ’ আখ্যা দিয়ে এই হুমকি দিয়েছেন তিনি। এবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ওড়ানোর হুমকির দিয়েছেন। পাশাপাশি ‘পাঞ্জাবের স্বাধীনতা নিয়ে গণভোট শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
গুরপতবন্ত পান্নু হুমকির সুরে সতর্ক করেছেন, আগামীদিনে ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরের নাম হবে শহিদ বিয়ন্ত সিং, শহিদ সতবন্ত সিং খালিস্তান বিমানবন্দর। বিয়ন্ত সিং এবং সতবন্ত সিং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন, যারা ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাকে হত্যা করেন।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পান্নুন। তবে এবারের হুমকি কার্যত বেনজির। আগাম এরকম হুমকি দিয়ে উত্তেজনা তৈরি ও ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজন ভন্ডুল করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্টের চক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে করছে কেন্দ্র। আর এই হুমকি বার্তা ভারত ও কানাডার মধ্যে সংঘাতকে আরও বাড়াবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন- ইডেনে ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল চান সৌরভ