প্রতিবেদন : এজেন্সি দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত হতে পারে না। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট। সাংবাদিকদের (Journalists- Supreme Court) ডিজিটাল গোপনীয়তা রক্ষার জন্য নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে হবে। এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কৌল এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ এই মন্তব্য করে। শীর্ষ আদালতের (Journalists- Supreme Court) বক্তব্য, স্বার্থের ভারসাম্য থাকতে হবে এবং মিডিয়া পেশাদারদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য সঠিক নির্দেশিকা স্থাপন করা প্রয়োজন। শুনানির সময় একথা বলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কৌল। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে, গোপনীয়তা একটি মৌলিক অধিকার।
ফাউন্ডেশন ফর মিডিয়া প্রফেশনালস নামে এক সংস্থার পক্ষ থেকে জনস্বার্থ মামলায় আবেদন জানানো হয়, তদন্তকারী সংস্থাগুলি যাতে ‘ইচ্ছামতো’ সাংবাদিকদের ডিজিটাল সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে না পারে, তার জন্য রক্ষাকবচ দেওয়া হোক। ফাউন্ডেশন ফর মিডিয়া প্রফেশনালস-এর আবেদনে অভিযোগ করা হয়, সাংবাদিকরা সীমাহীন হয়রানির শিকার হন এবং তাঁদের ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যক্তিগত ছবিও থাকে। কিছু ক্ষেত্রে, তাঁদের ডিজিটাল ডিভাইসগুলি কেড়ে নেওয়ার ফলে তাঁদের সন্তানদের স্কুলের ফি দেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এরপরই বিচারপতি কৌল কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজুকে জিজ্ঞাসা করেন, গোপনীয়তা একটি মৌলিক অধিকার। এরকম কাজের মানে কী? আবেদনকারীর তরফে সওয়াল করা হয়, এই মুহূর্তে দেশের শতাধিক সাংবাদিকের ডিজিটাল সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়ে রয়েছে। কখন কী বাজেয়াপ্ত করা যায়, বাজেয়াপ্ত ডিজিটাল সামগ্রীর কোন তথ্যভাণ্ডারে হাত দেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তথ্যসুরক্ষার কী হবে, এসব নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতিরাও তাঁদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিষয়টির সঙ্গে একমত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তদন্তকারীদের এক্তিয়ার এতে খর্ব হতে পারে বলে যুক্তি দেওয়া হলে আদালত বলেছে, রাষ্ট্র শুধু তদন্তকারী সংস্থা দ্বারা চালিত হতে পারে না।