প্রতিবেদন : রীতিমতো নজিরবিহীন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্বে পাঁচ রাজ্য থেকে নগদ অর্থ, মদ এবং বিনামূল্যে উপহার মিলিয়ে সবশুদ্ধ বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর আর্থিক মূল্য ১৭৬০ কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্ক আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে বলে সোমবার জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আটক করা সামগ্রীর মোট মূল্য থেকে এবারের ভোটে বাজেয়াপ্ত অর্থের পরিমাণ সাতগুণ বেশি।
আরও পড়ুন-প্রাপ্য না দেওয়ার নয়া বাহানা কেন্দ্রের
সোমবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং তেলঙ্গানা এই পাঁচ ভোটমুখী রাজ্য থেকেই বিপুল পরিমাণ সামগ্রী আটক হয়েছে, যা ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। নির্বাচন কমিশনের মতে, এই লাগামছাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি বিশেষ উদ্বেগের। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে একাধিক সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ভোটপর্বে ২৩৯.১৫ কোটি টাকা মূল্যের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবারের অঙ্ক তা ছাপিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-ভারতীয় ফুটবল যেন সোনার খনি
আগামী ৩০ নভেম্বর ভোট তেলেঙ্গানায়। রবিবার পর্যন্ত সেখানে ৬৫৯.২ কোটি মূল্যের সামগ্রী আটক করা হয়েছে, যা ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপরে রাজস্থান, যেখানে ভোট ২৫ নভেম্বর, রবিবার পর্যন্ত সেখানে আটকের পরিমাণ ৬৫০.৭ কোটি টাকা। ভোটপর্ব শেষ হয়েছে মিজোরাম, ছত্তিশগড় ও মধ্য প্রদেশে। এই তিন রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩২৩.৭ কোটি, যা আছে তৃতীয় স্থানে। এছাড়া ছত্তিশগড়ে ৭৬.৯ কোটি এবং মিজোরামে ৪৯.৬ কোটি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জনগণের ভোট পেতে ও ভোটারদের প্রভাবিত করতে লাগামছাড়া বেআইনি খরচকে বিপজ্জনক প্রবণতা হিসাবে উল্লেখ করেছে কমিশন। এই পাঁচ রাজ্যের ভোটগণনা হবে ৩ ডিসেম্বর।