বেশ কয়েকটি থানার অনেক জায়গায় সিসিটিভি না থাকা বা অচল থাকা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police)। এই অবস্থায় সিসিটিভি নিয়ে লালবাজারের তরফে নয়া নির্দেশ জারি করা হল। সিসি ক্যামেরাগুলি কী অবস্থায় রয়েছে এই নিয়ে প্রতিদিন রিপোর্ট লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে থানাগুলিকে পাঠাতে হবে বলেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব থানার সব সিসি ক্যামেরাগুলি সচল রাখার জন্যই লালবাজারের তরফে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেই খবর।
আরও পড়ুন-মুম্বই আবাসিকে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড, উদ্ধার ১৩৬
কলকাতার প্রতিটি থানাতে কমপক্ষে তিনটি করেছে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা আছে। লক আপ, ঢোকা ও বেরোনোর পথ এবং থানার সেরেস্তাতে সিসিটিভি আছে। ক্যামেরার দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার তরফে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় বিনা কারণে সিসিটিভি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই একটি থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, অভিযোগ জানাতে গিয়ে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল। এই বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে শীর্ষ কর্তারা জানতে পারেন, যে জায়গায় ব্যক্তির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা অচল।
আরও পড়ুন-কাপুরথালায় নিহঙ্গদের গুলিতে ২ পুলিশ আধিকারিক নিহত, প্রকাশ্যে ভিডিও
প্রসঙ্গত, কলকাতার অনেক থানার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ মাঝে মধ্যেই শোনা যায়। জানা যায়, কলকাতা পুলিশের একাধিক থানায় সিসিটিভি অচল থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে। সিসিটিভিগুলি কেন বন্ধ সেই বিষয়ে এবার জানতে চাইছে লালবাজার। প্রতিদিন থানার আধিকারিকদের লালবাজার কন্ট্রোল রুমে এই সংক্রান্ত সব জানাতে হবে। সিসিটিভি অচল থাকলে সেটা জট তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে। আমহার্স্ট স্ট্রিট-কাণ্ডের পর বিভিন্ন থানায় নির্দিষ্ট সংখ্যক সিসিটিভি না থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি থানা চত্বরে ১৪ টি জায়গায় সিসিটিভি লাগানোর কথা বলা আছে। নির্দেশ মেনে কলকাতার ২৪ টি থানায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। কিন্তু সিসিটিভি বসানোর কাজ অনেক থানাতেই হয় নি। পুলিশকর্মী এবং সাধারণ মানুষ যেখানে চলাফেরা করেন সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের তরফে এই জন্য থানাপিছু ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।