প্রতিবেদন : বন্দিদশায় চরম কষ্টে থাকতে হয়েছে ওঁদের। যেকোনও মুহূর্তে মৃত্যুভয় তো ছিলই, সেইসঙ্গে নিম্নমানের খাবার দেওয়া, দুর্ব্যবহার ও নির্যাতনের (Hamas- torture) অভিযোগ সামনে আসছে। খেতে না পেয়ে আশ্চর্যজনকভাবে কমে গিয়েছে পণবন্দিদের দেহের ওজন। অসামরিক পণবন্দিদের সঙ্গে হামাসের এমন আচরণে নিন্দার ঝড়। দিনের পর দিন সূর্যের আলোটুকুও দেখতে না পাওয়া এবং জঘন্য খাবার খেতে হয়েছে পণবন্দিদের। সেইসঙ্গে মানসিক নির্যাতন। যুদ্ধবিরতিতে পণবন্দিদের মুক্তির পরই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পণবন্দিরা দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা সামনে না আনলেও তাঁদের শারীরিক অবস্থা দেখে মাথা খারাপ হওয়ার উপক্রম চিকিৎসকদের। হামাসের (Hamas- torture) হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই শামির মেডিক্যাল সেন্টারে ১৭ থাই নাগরিককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকদের অভিযোগ, তাঁরা যাঁদের দেখেছেন, বন্দিদশায় সকলকেই অত্যন্ত অপুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়েছিল। আর সেকারণেই এত কম সময়ের মধ্যে সকলেই উল্লেখযোগ্যভাবে তাঁদের ওজন হারিয়েছেন। চিকিৎসকরা আরও জানান, আনুমানিক ১০ শতাংশ কিংবা তারও বেশি ওজন কমেছে পণবন্দিদের। পাশাপাশি পণবন্দিদের সূর্যের আলো দেখারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। মুক্তির পর পণবন্দিরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ভাত, নোনতা চিজ, হামুস ফাভা বিনস খেতে দেওয়া হয়েছে। বন্দিদশায় সময় কাটাতে কাগজ-কলম বা পেনসিল চাইলেও তা দিতে অস্বীকার করেছে হামাস। পণবন্দিদের কাছে সময় কাটানোর একমাত্র উপায় ছিল নিজেদের মধ্যে কথা বলা। কিন্তু সকলেরই যে এমন সুযোগ মিলেছে তা নয়। সূত্রের খবর, এক ফরাসি-ইজরায়েলি কিশোরকে একটি বন্ধ ঘরে ১৬ দিন আটকে রেখে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন- দণ্ডসংহিতা: বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে বিল পাশে মরিয়া কেন্দ্র