প্রতিবেদন : রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামছে তৃণমূল (TMC)। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা, অন্যদিকে আদিবাসীদের অবমাননা— জোড়া ইস্যুতে প্রতিবাদ হবে রাজ্য জুড়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শনি ও রবিবার প্রতিবাদ মিছিল হবে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি ব্লকে ব্লকে মিছিল করে প্রতিবাদে সরব হবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হওয়ার পাশাপাশি, আদিবাসী অবমাননার বিরুদ্ধেও একযোগে মুখর হবেন তৃণমূল (TMC) নেতারা।
শুক্রবার বিধানসভায় বিজেপির শুদ্ধিকরণ কর্মসূচির প্রতিবাদে তৃণমূল ২ ও ৩ ডিসেম্বর মিছিলের ডাক দেয়। ওই দু’দিন তৃণমূলের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ মিছিল চূড়ান্ত ছিল আগে থেকেই। এবার সেই কর্মসূচির সঙ্গে জুড়ে গেল আদিবাসী অপমানের বিষয়টিও। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল জানিয়ে দেয়, বিজেপির এই কাজ আদিবাসীদের জন্য অবমাননাকর। অপমানিত বোধ করছেন শাসকদলের আদিবাসী বিধায়করাও। তাঁরা বলেন, আম্বেদকর মূর্তির নিচের জায়গাটিকে ‘অপবিত্র’ অ্যাখ্যা দিয়ে শুদ্ধীকরণের মতো কাজ আসলে আদিবাসীদের অপমান করা। তাই এই অপমানের বিরুদ্ধেও পথে নামার সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের আদিবাসী নেতা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বড়াইকের নেতৃত্বে আলাদা করে অবস্থান-বিক্ষোভও হবে আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে তৃণমূল প্রতিবাদ-মিছিল করবে।
গদ্দার অধিকারী তো আগেই বীরবাহা হাঁসদা, দেবনাথ হাঁসদাদের পায়ের নিচে রাখার কথা বলে আদিবাসীদের অপমান করেছিলেন। এবার আম্বেদকর মূর্তির শুদ্ধীকরণ করে তাঁরা ফের অপমান করলেন আদিবাসীদের। এরপর তৃণমূল নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ২ ও ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ব্লকে ব্লকে যে দলীয় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেই কর্মসূচিতে আদিবাসীদের অপমানের বিষয়টিও সংযুক্ত হবে। এই বিষয়েও সরব হবেন দলের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন- ১৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শিবির